ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

শিশুর মৃত্যু: হাসপাতাল মালিক রিমান্ডে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২২
শিশুর মৃত্যু: হাসপাতাল মালিক রিমান্ডে

ঢাকা: টাকা দিতে না পারায় যমজ দুই শিশুকে বের করে দেওয়ার পর একজনের মৃত্যুর ঘটনায় ‘আমার বাংলাদেশ হসপিটাল’ এর মালিক মোহাম্মদ গোলাম সারোয়ারের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  

শনিবার (৮ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শুভ্রা চক্রবর্তী রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

হাসপাতালের আইসিও থেকে বের করে দেওয়ার পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে ওই শিশুর মৃত্যু হয়।  

এ ঘটনায় হওয়া মামলায় শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সকালে গোলাম সারোয়ারকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। শনিবার তাকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম।

আসামিপক্ষে আইনজীবী বিধূর কৃষ্ণ ও আব্দুল আউয়াল রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে সিএমএম আদালতে মোহাম্মদপুর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের এসআই শরীফুল ইসলাম আসামিপক্ষের জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

শুক্রবার শিশু দুটির মা আয়শা আক্তার মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন।  

মামলায় বলা হয়, ঠাণ্ডাজনিত কারণে গত ৩১ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে দুই যমজ সন্তান আব্দুল্লাহ ও আহম্মেদকে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের আইসিইউতে নিতে বলা হয়। ওই হাসপাতালে সিট না মেলায় সাভারে কোনো একটি হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এ সময় এক দালাল শিশু দুটিকে পাশের একটি হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, সেখানেও সরকারি হাসপাতালের মতো খরচ কম।  

ওই দালালের কথা মতো শিশু দুটিকে ‘আমার বাংলাদেশ হসপিটালে’ ভর্তি করানো হয়। এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছয় দিনে দুই শিশুর চিকিৎসার বিল দেখায় এক লাখ ২৬ হাজার টাকা। কয়েক দফায় ৫০ হাজার ৫০০ টাকা দেন শিশুদের মা।  

ওই নারী বলেন, বাকি টাকা না দিতে পেরে তাদের হাতে-পায়ে ধরেও লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে সন্তানসহ হাসপাতাল মালিক আমাকে জোর করে বের করে দেন।  

এরপর শাহিন নামে এক যুবককে নিয়ে দুই শিশুসহ ঢামেক হাসপাতালে যাই। সেখানে পৌঁছানোর আগেই আমার এক ছেলে মারা যায়। আরেক ছেলের অবস্থাও ভালো না।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২২
কেআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।