ঢাকা, বুধবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ মে ২০২৪, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

৯ বছর পর হত্যা মামলার আসামিরা খালাস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০০ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২২
৯ বছর পর হত্যা মামলার আসামিরা খালাস

ফেনী: ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা সিএনজি অটোরিক্সা চালক জয়নাল আবেদীন নিখোঁজের ৯ বছরেও সন্ধান মিলেনি। এ ঘটনায় অপহরণ করে হত্যার অভিযোগে দায়েরের করা মামলার ৬ আসামিকে বেখসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

 

বৃহস্পতিবার (০৩মার্চ) দুপুরে ফেনী জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা এ রায় দেন। এ সময় ৫ আসামি আদালতে উপস্থিত থাকলেও একজন পলাতক ছিলেন।  

আসামিরা হলেন, নাছির উদ্দিন লিটন, ইসলমাইল হোসেন দুলাল, সিরাজুল ইসলাম মাস্টার, দুলাল হোসেন খোকন, নাজমুল হন নয়ন ও মো. নুর করিম।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হাফেজ আহম্মদ জানান, ৬ আসামিকে বেখসুর খালাস দিয়েছে আদালত। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো। জয়নালকে অপহরণ করে হত্যার পর লাশ গুম করা হয়েছে। ঘটনার ৫দিন পর তার পরনের জ্যাকেট উদ্ধারের পর বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। আসামিরা তাকে একটি দোকান থেকে তুলে নিয়ে অপহরণ করে হত্যা করেছে। আসামিদের সঙ্গে জয়নালদের জায়গা-জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধ ছিল। সে বিরোধের জেরে একটি মামলা হয়েছিল। সে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ছাপ সৃষ্টি করতেন আসামিরা। একসময় হত্যার হুমকি দেয়। এই আসামিরাই তাকে হত্যা করেছেন।
 
আসামি পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ হানিফ মজুমদার বলেন, বিচারক ছয় জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের দোষী সাব্যস্থ করতে পারেনি। জয়নাল আত্মগোপনও করতে পারে। হত্যা মামলা হলেও পোস্টমর্টেম রিপোর্ট নেই। সম্পত্তি বিরোধ নিয়ে অনুমান নির্ভর আসামি করা হয়েছে। তাই মামলায় আসামিরা খালাস পেয়েছেন।

আদালতের নথিপত্র থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাড়ির পাশে বাঁধে চা দোকান থেকে নিখোঁজ হন। ১২ জানুয়ারি বড় ফেনী নদীর তীরে জয়নালের পরণে থাকা জ্যাকেট পাওয়া যায়।  

এ ঘটনায় ছেরাজুল হক বাদি হয়ে ১৮ জানুয়ারি ৪ জনকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আমির জ্যাকেট উদ্ধারের সূত্র ধরে হোসেন ছয় জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। একই বছরের ২৪ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২২
এসএইচডি/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।