ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

মহাদেও নদীর অবস্থা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৪ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২২
মহাদেও নদীর অবস্থা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট হাইকোর্ট

ঢাকা: বালু উত্তোলনের কারণে প্রতিবেশগত ক্ষতিরমুখে থাকা নেত্রকোনার মহাদেও নদীর অবস্থা সম্পর্কে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, এবং সহকারি পরিচালককে তিন মাসের মধ্যে এ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

জনস্বার্থে পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো.মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।  
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মিনহাজুল হক চৌধুরী। রাষ্টপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

রুলে নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার সন্যাসীপাড়া গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত মহাদেও নদী, নদী সংলগ্ন ফসলি জমি, স্থানীয় বাজার, বসতবাড়ি, বাগান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও বৃক্ষাদি রক্ষার ব্যর্থতা কেন বেআইনি হবে না এবং মহাদেও নদী, নদীর প্রতিবেশ ব্যবস্থা ও সংশ্লিষ্ট গ্রামবাসীর সম্পদের যে ক্ষতি হয়েছে তা আইন অনুসারে হিসাব করে ইজারা গ্রহীতাসহ দায়ী ব্যক্তিদের কাছ থেকে আদায়ের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

ভূমি সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সচিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক,পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার, নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক ১০জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বেলা জানায়, মহাদেও নদীর উৎপত্তিস্থল ভারতের মেঘালয় পাহাড়। নদীটি  মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার ৮ নং রংছাতি ইউনিয়ন দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ নদীর ওমরাগাঁও, হাসানোয়াগাঁও এবং বিশাউতি মৌজায় একটি ঘোষিত বালুমহাল রয়েছে। ইজারা দেওয়া সেখান থেকে বালু উত্তোলন করে ব্যবসায়ীরা।

বেলার অভিযোগ, বালুমহালে বালু না থাকায় মহাদেও নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে বালু ও পাথর উত্তোলন করছে ইজারা গ্রহীতা। অনিয়ন্ত্রিত, আইন বহির্ভূত ও নির্বিচারে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার সন্যাসীপাড়া, পাতলাবন, মৌতলা, বরুয়াকোনা, ডাকাইয়াপাড়া, কান্দাপাড়া, রাজবাড়ী, সতেরহাতি, ব্যস্তপুর, ছোটমনগড়া ও চিকনটুপ গ্রামবাসীর ফসলি জমি, স্থানীয় বাজার, বসতবাড়ি, বাগান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও বৃক্ষাদি মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সবচেয়ে বেশিক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মহাদেও নদী ও এর প্রতিবেশ ব্যবস্থা। এ কারণে হাইকোর্টে রিট করে বেলা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২২ 
ইএস/এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।