রূপচর্চা
‘শুধু রূপ থাকলেই চলে না, রূপকে বিকশিত করার জন্যই রূপচর্চার প্রয়োজন। ’ বললেন নন্দিত নায়িকা মৌসুমী।
নব্বইয়ের শুরুতে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’-এর মধ্য দিয়ে ঢালিউডে যে লাস্যময়ী নায়িকা মৌসুমীর অভিষেক হয়েছিল, গত দুই দশকে তার সেই রূপমাধুরী ম্লান হয়নি মোটেও। কী করে ধরে রেখেছেন এই লাবণ্য?
মৌসুমীর সহজ উত্তর, যে কেউ একটু চেষ্টা করলেই তার রূপলাবণ্য ধরে রাখতে পারেন। এজন্য অনেক পয়সা খরচ করার কোনও দরকার নেই। দরকার শুধু কিছু বিষয়ে সচেতনতা, অভ্যাসের পরিবর্তন আর নিজেকে নিয়ন্ত্রণ। যেমন : চর্বি ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলা, সালাদ ও সবজিজাতীয় খাবার গ্রহণে জোর দেওয়া, পরিমিত খাওয়া-দাওয়া, প্রচুর পানি পান, নিয়মিত হাঁটা, ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, প্রয়োজনীয় বিশ্রাম ও ঘুম।
রূপচর্চায় মৌসুমী সবচেয়ে বেশি যতœ নেন, ত্বক ও চুলের। এক্ষেত্রে তিনি কেমিক্যাল কসমেটিকস এড়িয়ে চলেন বলে জানান। ব্যবহার করেন হারবাল উপাদানসমৃদ্ধ রূপ-উপাটন। কোনও পার্টি বা স্পেশাল প্রোগ্রাম না থাকলে সপ্তাহে একবার বিউটি পার্লারে যান। শুটিং থাকলে কাজ শেষে খুব যতœ নিয়ে মেকআপ তুলেন। শুটিংয়ে সবসময় ব্যবহার করেন নিজ¯¦ মেকআপ সামগ্রী।
ফ্যাশন
ফ্যাশন সম্পর্কে মৌসুমী বললেন, আমার কাছে ফ্যাশন অনেক বড় বিষয়। মানুষের রুচি আর ব্যক্তিত্বের সঙ্গে ফ্যাশন সম্পর্কিত। অনেকে সুন্দর ডিজাইনের রঙচঙে জামা-কাপড় পড়াটাকে ফ্যাশনের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন। আসলে ফ্যাশন হলো সময়ের ধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে রুচিশীলভাবে পোশাকে-সাজসজ্জায় নিজেকে সবার সামনে উপস্থাপন করা। ফ্যাশনের ক্ষেত্রে আমি সবসময় একটু খুঁতখুঁতে। পোশাকটি আরামদায়ক কিনা সেদিকে সবার আগে নজর দিই। সিজন অনুযায়ী বেছে নিই ফ্যাব্রিক। গরমে বা বৃষ্টির মৌসুমে আমার পছন্দ কটন আর জর্জেট। এ সময় এড়িয়ে চলি সব ধরনের সিনথেটিক ফেব্রিক। এরপর রঙ পছন্দের পালা। দিনে লাইট আর রাতে একটু ব্রাইট কালার পছন্দ। সাদার প্রতি দুর্বলতা সামান্য বেশি।
পোশাকের কাটিং অবশ্যই হতে হবে চলতি সময়ের উপযোগী। শাড়ি আমার প্রথম পছন্দ। তবে সামলানো মুশকিল বলে উৎসব-অনুষ্ঠান ছাড়া পরা হয় না। ঘরে সালোয়ার-কামিজ বা ফতুয়া-ট্রাউজার বেশি পড়ি। পার্টিতে গেলে আগে কখনো কখনো ওয়েস্টার্ন ড্রেস পড়লেও এখন শাড়িই পছন্দ।
মৌসুমী জানালেন, নিজের পোশাক তিনি নিজেই ডিজাইন করতে পছন্দ করেন। নিজের জন্য ডিজাইন করতে গিয়ে হঠাৎই মনে হলো, ফ্যাশন ডিজাইনিং কাজটা তো মন্দ নয়। দেখি না একটু চেষ্টা করে। সেই চিন্তা থেকেই কিছু পোশাক তিনি ডিজাইন করেছেন। এগুলো পাওয়া যাচ্ছে বসুন্ধরা সিটির ‘লি-বাইস’ শো-রুমে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৮১০, অক্টোবর ০৪, ২০১০