ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

আঁশফল খেতে বেশ সুস্বাদু

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৩ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২৩
আঁশফল খেতে বেশ সুস্বাদু আঁশফল। ছবি: তৃষ্ণা

আঁশফলের আরেকটি নাম হলো কাঠলিচু। এ ফল দেখতে ছোট আকারের লিচুর মতো।

কিন্তু এতে কোনো আঁশ নেই, তবুও ফলটির নাম আঁশফল। এটি খেতে বেশ সুস্বাদু, তেমনি পুষ্টিকরও।

পুষ্টিমান ও ওষুধিগুণ

আঁশফলে বিভিন্ন খনিজ উপাদান, শর্করা ও ভিটামিন ‌‘সি’র প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম ভক্ষণযোগ্য অংশে ৭২ শতাংশ পানি, ১০৯ কিলোক্যালোরি শক্তি, ৮.০ মিগ্রা. ভিটামিন সি, ২৮০ আইইউ ভিটামিন এ, ২.০ মি.গ্রা. ক্যালসিয়াম, ৬.০ মি.গ্রা. ফসফরাস, ১.০ গ্রাম প্রোটিন ও ০.৫ গ্রাম ফ্যাট বিদ্যমান।
 
পাকা আঁশফলে ১ দশমিক ৪২ শতাংশ প্রোটিন আছে। যেকোনো দুর্বলতায় ভুগলে চার-পাঁচ চা চামচ ফলের রস প্রতিদিন সকালে বা বিকেলে একবার খেলে দুর্বলতা কমে যাবে। আঁশফলের শুকানো শাঁস ভেষজ ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এটি পাকস্থলীর প্রদাহে, অনিদ্রা দূর করতে ও বিষের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

এ ফলে পাতা অ্যালার্জি, ক্যানসার, ডায়াবেটিস ও কার্ডিওভাসকুলার রোগ নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করা যায়। এছাড়া উদারাময় নিবারক ও কৃমিনাশকে দারুণ কার্যকর এ ফলটি। শারীরিক অবসাদ দূর করতেও এর দারুণ সুনাম। পেটের অসুখ দূর করতেও এতে থাকা আঁশ উপকারী।

আঁশফলে থাকা লৌহ দেহের ক্ষয়পূরণে সহায়ক। দেহের মাংসপেশির ক্ষয়রোধ করতে আঁশফল খুবই উপকারী। রসালো এ ফলে কোনো ধরনের ফ্যাট না থাকায় ওজন কমাতে সাহায্য করে। আঁশফলের ভিটামিন ‘সি’ নানা ধরনের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধে দেহকে শক্তিশালী করে তোলে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২৩
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।