ঢাকা, শনিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

চোখ ওঠা সমস্যায় যা করবেন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৭ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৪
চোখ ওঠা সমস্যায় যা করবেন

চিকিৎসকরা বলেছেন, গরমে আর বর্ষায় চোখ ওঠার প্রকোপ বাড়ে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটিকে কনজাংটিভাইটিস বা কনজাংটিভার বলা হয়।

তবে স্থানীয়ভাবে এ সমস্যাটি চোখ ওঠা নামেই পরিচিত। রোগটি ছোঁয়াচে। ফলে দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
আসুন জেনে নিই চোখ ওঠা সমস্যায় যা করবেন

আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ চোখের নিচের অংশ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে ব্যথা, খচখচ করা বা অস্বস্তি। প্রথমে এক চোখ আক্রান্ত হয়, পরে অন্য চোখে ছড়িয়ে পড়ে। এ রোগে চোখ থেকে পানি পড়তে থাকে। চোখের নিচের অংশ ফুলে ও লাল হয়ে যায়। চোখ চুলকাতে থাকে। আলোয় চোখে আরও অস্বস্তি হয়।

আক্রান্তরা যা করবেন না

  •  চোখ চুলকানো থেকে বিরত থাকুন।
  •  রোগীর ব্যবহার করা সামগ্রী অন্যদের ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • এক চোখে সমস্যা দেখা দিলে অন্য চোখকে সংক্রমণ থেকে নিরাপদে রাখতে হবে।
  • আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ পরিহার করতে হবে।
  • আক্রান্ত ব্যক্তির রুমাল, কাপড়চোপড়, তোয়ালে ব্যবহার করা যাবে না।
  •  হ্যান্ডশেকের মাধ্যমেও অন্যরা আক্রান্ত হতে পারেন। তাই হ্যান্ডশেক করার পর দ্রুত হাত ধুয়ে ফেলুন। নোংরা হাতে কখনই চোখে হাত দেবেন না।

এই রোগ হলে যা করবেন

 সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চোখে পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

 চোখে সাবধানে টিস্যু বা নরম কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে। ব্যবহার করা সেই টিস্যু বা কাপড় সাবধানে নিরাপদ স্থানে ফেলতে হবে। যাতে করে এ রোগ অন্য কারো না হয়।

 আক্রান্ত ব্যক্তি বাইরে গেলে সানগ্লাস পরতে হবে, তা নাহলে রোদে চোখ জ্বলবে।

চোখে চুলকানি ও বেশি ফুলে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. শাহনুর হাসান বাংলানিউজকে বলেন, চোখ ওঠা রোগকে আমরা ভাইরাল কনজাংটিভাইটিস বলে থাকি। এটা সিজনাল একটি রোগ। গরমে এবং বৃষ্টিতে এই রোগ বেশি ছড়ায়। ঋতু পরিবর্তনের ফলে এই ভাইরাল ইনফেকশন হচ্ছে।

এ রোগে সতর্কতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চোখ ওঠা রোগ হলে, আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। ভাইরাসজনিত এ রোগ যার হবে, তিনি যেন অন্যের সংস্পর্শে না আসেন। রোগীর ব্যবহার করা তোয়ালে, বিছানা, বালিশ যেন অন্য কেউ যেন ব্যবহার না করে। বাচ্চাদের চোখ ওঠলে, স্কুলের অন্য বাচ্চাদের সুরক্ষিত রাখতে সে যেন কিছু দিন স্কুলে না যায়। ভাইরাস জ্বর যেমন ৫৭ দিনে ভালো হয়ে যায়, এটাও তেমন এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চোখ ওঠা নিশ্চিত হয়ে অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৮ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৪
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।