নিয়ম করে শরীরচর্চা করতে পারলে ওজন নিয়ে ভাবতে হয় না। তবে শরীরচর্চা আদতে বেশ পরিশ্রমের।
* দীর্ঘক্ষণ ধরে ট্রেডমিলে হাঁটলে, ওজন তুললে এমনিতেই জল তেষ্টা পাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু তেষ্টার মাত্রা যদি বেশি হয়, তা হলে এক বার খেয়াল করা জরুরি। গলা, মুখের ভেতর যদি অত্যধিক শুষ্ক হয়ে যায়, তা হলে বুঝতে হবে শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেছে। সে অবস্থায় ভারী শরীরচর্চা করলে মুশকিল হতে পারে।
* শরীরচর্চার সময় বলে নয়, যেকোনো সময়ে টান ধরতে পারে পেশিতে। আর এই সমস্যার অন্যতম কারণ হলো, শরীরে পর্যাপ্ত পানির অভাব। শরীরে পানির পরিমাণ যখন কমে যায়, তখনই এমন হয়। তাই শরীরচর্চার ফাঁকে হঠাৎ যদি পেশিতে খিঁচুনি অথবা টান ধরে, তা হলে সেই মুহূর্তে শরীরচর্চা বন্ধ করে দেওয়া জরুরি। না হলে কিন্তু চোট-আঘাতের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
* বুক ঢিপঢিপ, মাথা ঘোরা, চোখমুখে অন্ধকার দেখা— শরীরচর্চার সময়ে মাঝেমাঝেই এই উপসর্গগুলো দেখা দেওয়ার মানে শরীর অত্যধিক দুর্বল হয়ে পড়েছে। শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলেই সাধারণত এমন হয়। বেশি দুর্বল লাগলে ব্যায়াম না করাই শ্রেয়।
* কায়িক পরিশ্রম বেশি হলে মাথা যন্ত্রণা হওয়া স্বাভাবিক। এছাড়া শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলেও অস্বাভাবিক মাথা যন্ত্রণা হয়। ব্যায়ামের ফাঁকে হঠাৎ মাথাব্যথা শুরু হলে পানি পান করে, বিশ্রাম নেওয়াই ভালো।
* বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সাহায্যে শরীরচর্চা করা বেশ কষ্টসাধ্য। পরিশ্রম বেশি হয়। কিন্তু অনেক সময়ে যতটা পরিশ্রম করার কথা, শরীর ঠিক ততটা করতে পারে না। পানির পরিমাণ কমে গেলে শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়তে থাকে। এমন হলে শরীরচর্চায় বিরতি নেওয়া প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪
এএটি