‘দাও গায়ে হলুদ/পায়ে আলতা/হাতে মেন্দি/বিয়ের সাজে কন্যারে সাজাও জলদি’ গানটি বিয়ের কনের সখী এবং পড়শীরা গাইছিলেন সুর করে।
কনের মঞ্চের সামনে সাজানো ছিল বরের দেওয়া কন্যা সাজানোর নানা প্রসাধনী, জীবন্ত মোরগ, ইলিশ মাছ, ফলফলাদি এবং দই-মিষ্টি।
আয়োজনটি যদিও বিয়ের তবে এটি কারো ব্যক্তিগত বিয়ে নয়। ঢাকার ৪০০ বছর উপলক্ষে ‘ঢাকাবাসী’ সংগঠনটি ২৭ ডিসেম্বর বিকেলে পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে ‘ঢাকার বিয়ের উৎসব’ নামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে নাগিনা চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা এবং শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
পুরো মিলনায়তনটি সাজানো হয়েছিল নানা রকম নকশা করা কাগজের ঝালর, রঙ-বেরঙের ঘুড়ি এবং ছোট ছোট কলাগাছ দিয়ে। আর কালাচাঁনের ব্যান্ড পার্টি বাজিয়ে যাচ্ছিল ঢাকাইয়া বিয়ের গীত। আর এভাবে মিলনায়তনটি যেন হয়ে উঠেছিল কনের বাড়ি।
ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বিয়েতে যে যে আয়োজন থাকে তার সব করা হয়েছিল দুই ঘণ্টার এ অনুষ্ঠানে।
মঞ্চে কনে বসেছিল জবরদস্ত সাজে। সাথে পড়শি এবং সখীরাও ছিল। অপরদিকে ঘোড়ার গাড়িতে করে বর এল কনের বাড়িতে, ছোট ছেলেমেয়েরা গেটে টাকার বায়না ধরল, বর টাকা দিয়ে গেটের ফিতা কেটে কনের কাছে এল। তারপর পরিবেশন করা হলো বিয়ের গীতের সাথে একটি দলীয় নাচ।
এভাবে একটি ঢাকাই বিয়ের পুরো প্রক্রিয়াটি প্রদর্শনের মাধ্যমে শেষ হয় এ আয়োজন।
বাংলাদেশ সময় ২২০০, ডিসেম্বর ২৭, ২০১০