আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন ছোটবেলায় যাদের দাদা-দাদীর কাছে গল্প না শুনলে ঘুমই আসত না। অনেক সময় দাদা-দাদীরা তাদের নিজেদের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা গল্পাকারে বলতেন।
গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন, ৬০ বছরের পর থেকে মানুষের মধ্যে ‘আবেগগত বুদ্ধিমত্তা’ বাড়তে থাকে। এর ফলে বয়স্করা তরুণদের তুলনায় অনেক বেশি সংবেদনশীল হন। এছাড়া তারা যে কোনো দুর্দিনেও ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখতে পারেন।
সম্প্রতি সাইকোলজি অ্যান্ড এজিং নামের একটি সাময়িকীতে এ তথ্য প্রকাশিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জীবনের শেষ পর্যায়ে তাদের মধ্যে আরো ‘দায়িত্বশীল’ মনোভাবের সৃষ্টি হয়।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক রবার্ট লেভেনসন বলেন, ‘ক্রমান্বয়ে দেখা যাচ্ছে যে বয়স্করা জীবনের শেষ পর্যায়ে সামাজিক সম্পর্কের বিষয়ে আরো মনযোগী হয় এবং অপর ও নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। আন্তঃব্যক্তিক এবং সহমর্মিতার ক্ষেত্রে স্নায়বিক দিকগুলো বেশি কাজ করতে থাকে। ’
ড. বেনজামিন সেইডার বলেন, ‘জীবনের শেষ দিকে মানুষ ব্যতিক্রমী বিষয় এবং অর্জনের দিকে মনোযোগী হয়ে আন্তর্ব্যক্তিক সম্পর্ককে গভীর করতে পারেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, ০৩ ডিসেম্বর ২০১১