একজন মানুষ তার ১৬ বছর বয়সের আগেই অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। আর একবার তাতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে অসুস্থতা থেকে ফিরে আসার আর কোনো পথ খোলা থাকে না।
অলস জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ এবং অ্যালকোহল পানের মতো খারাপ অভ্যাসগুলো সাধারণত মানুষের ১৯ বছর বয়স থেকে শুরু হয়। কিন্তু এ ধরনের অভ্যাস গড়ে উঠার ক্ষেত্রে ১৬ একটি বিপজ্জনক বয়স বলে গবেষকরা জানান।
তাই এ ধরনের অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে অভ্যস্ত হওয়ার আগেই অর্থাৎ ১৩ বছর বয়স থেকেই শিশুদের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রচার চালানো উচিত বলে গবেষকরা সুপারিশ করেছেন।
স্পেনের ব্যাস্কু কান্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্থা অ্যারুয়ে এ গবেষণাটি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের খারাপ অভ্যাসগুলোর মধ্যে অতি আহার, অ্যালকোহল পান, নিষ্ক্রিয় জীবনযাপন, ঝুঁকিপূর্ণ শারীরিক সম্পর্ক, ধূমপান, মাদকাসক্তি এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে অপর্যাপ্ত ঘুমের মতো সমস্যা দেখা দেয়। ’
‘এর মধ্যে নারীরা পুরুষের তুলনায় অধিক ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। নারীদের ক্ষেত্রে দুর্বল জায়গাগুলো হলো নিষ্ক্রিয় জীবনযাপন, তামাক গ্রহণ, গর্ভধারণ এবং যৌনবাহিত রোগের ঝুঁকি। অন্যদিকে পুরুষের ক্ষেত্রে অ্যালকোহল এবং অবৈধভাবে মাদক গ্রহণ ও অতি আহারের প্রবণতা অধিক দেখা যায়। ’
‘এক্ষেত্রে ১৬ বছর বয়সীদের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। কারণ এ বয়স থেকে খারাপ অভ্যাসগুলো আয়ত্ত করা শুরু করলে তা থেকে ফিরে আসার আর কোনো পথ নেই। তাই এ বয়স থেকেই শিশুদের স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে অভ্যস্ত করতে তাদের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। ’
অ্যারুয়ে ব্যাস্কু অঞ্চলের মোট ২ হাজার ১৮ জন নারী-পুরুষের ওপর এ গবেষণাটি পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি তাদের বিভিন্ন প্রশ্ন পূরণের নির্দেশ দেন। এদের মধ্য থেকে তিনি ১৩ থেকে ১৭ বছরের কিশোর এবং ১৮ থেকে ২৬ বছর বছরের তরুণ এ দুটি শ্রেণীতে ভাগ করেন এবং তাদের লিঙ্গ ও বয়সের ভিত্তিতে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করেন।
সূত্র : ডেইলি টেলিগ্রাফ
বাংলাদেশ সময় ২২৩০, জানুয়ারি ০৬, ২০১১