ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

শাহ আবদুল করিমের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১০
শাহ আবদুল করিমের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী

ঢাকা: জীবদ্দশাতেই বাউল গানের কিংবদন্তী খ্যাতি পাওয়া শাহ আব্দুল করিমের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বার্ধক্যজনিক রোগে সিলেটের এক ক্লিনিকে মারা যান তিনি।

মরমী এই সঙ্গীতজ্ঞের জন্ম ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জের দিরাই থানার উজানধল গ্রামে। জীবনজুড়েই দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে তাকে।  

প্রচলিত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় মনোযোগী না হলেও আবদুল করিমের সঙ্গীত সাধনা শুরু হয়ে যায় শৈশবেই। বিয়ের পর তার সঙ্গীত জীবনের প্রেরণাদাত্রী হিসেবে আবির্ভূত হন স্ত্রী আফতাবুন্নেসা। আদর করে যাকে ‘সরলা’ ডাকতেন করিম। সরলার প্রেরণায় কালজয়ী সব গান বাঁধেন বাউল সম্রাট।
 
তার গানে ভাটির মানুষের জীবন-জীবিকা-স্বপ্ন-হতাশার পাশাপাশি ফুটে ওঠে অন্যায়-অবিচার-সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী সুর, কুসংস্কা বিরোধী স্লোগান।

কালজয়ী এসব গান ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ভাটি অঞ্চলে। হাল আমলে তা কদর পেতে শুরু করে শহুরে শ্রোতাদের কাছেও। বেশ ক’জন শিল্পী শাহ আবদুল করিমের গান নতুন  করে গাওয়া শুরু করলে একবিংশ শতাব্দীর শ্রোতারা তা ব্যাপকভাবে গ্রহণ করেন। এর ফলে নতুন করে দেশব্যাপী পরিচিতি পান বাউল সম্রাট।
 
তার লেখা গানের সংখ্যা দেড় হাজারেরও বেশি। এ পর্যন্ত তার ৬টি গানের বই প্রকাশিত হয়েছে। বইগুলো হলো-আফতাব সঙ্গীত, গণ-সঙ্গীত, কালনীর ঢেউ, ভাটির চিঠি, কালনীর কূলে ও দোলমেলা। এছাড়া প্রকাশ পেয়েছে শাহ আব্দুল করিমের রচনাসমগ্র।

মরমী বাউল শাহ আব্দুল করিম ২০০১ সালে একুশে পদক লাভ করেন। বাংলা একাডেমি তার দশটি গানের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করে। দ্বিতীয় সিটিসেল চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয় তাকে। এছাড়া ২০০০ সালে পেয়েছেন কথা সাহিত্যিক আবদুর রউফ চৌধুরী পদক।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।