আবার আলোচনায় ডায়ানা প্রসঙ্গ। শুধু আলোচনাই নয়, হচ্ছে বেশ সমালোচনাও।
অভিনেত্রী কিরা নাইটলি এবং চার্লিস থেরন এখন পরস্পর মুখোমুখি। ডায়ানার জীবনী নিয়ে যে দুটি ছবি বানানোর কথা আলোচনায় এসেছে তারা হবেন সেই ছবি দুটির সম্ভাব্য নায়িকা। গণমাধ্যমে যে খবর প্রকাশ পেয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, থেরন যে ছবিতে অভিনয় করবেন তাতে ডায়ানার সঙ্গে তার সাবেক প্রেমিক কেন ওয়ারফির ঘটনাগুলোই প্রাধান্য পাবে। ওয়ারফির চরিত্রে ইউয়ান ম্যাকগ্রেগরের অভিনয় করার কথা উঠেছে।
ছবিটির প্রযোজক স্টিফেন ইভানসকে উদ্ধৃত করে ব্রিটেনের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম খবর ছেপেছে যে, ওয়ারফি ডায়ানার জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছেন। তাই ছবিটি রাজকুমারীর জীবনের বাস্তব ঘটনাগুলো তুলে ধরবে।
ইভানসের ছবিটির শুটিং শুরু হওয়ার কথা আগামী বছর। কিন্তু শুরুতেই উঠে এসেছে প্রতিযোগিতার প্রসঙ্গ। কেননা, অপর ছবিটিতে ডায়ানা চরিত্রে অভিনয় করার কথা কিরা নাইটলির। এটির নির্মাতা কোম্পানি প্যাথ। আর এ প্রতিষ্ঠান মনে করে, নাইটলি অভিনীত ছবিটি তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ছবিটির চেয়ে অনেক ভালো হবে। শুধু তাই নয়, অস্কারবিজয়ী অভিনেত্রী ডেম হেলেন মিরেন এই ছবিতে অভিনয় করবেন ডায়ানার মা ফ্রান্সেস শ্যান্ড কিডের চরিত্রে। ২০০৬ সালে ‘দ্য কুইন’ ছবিতে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের চরিত্রে অভিনয় করে তিনি অস্কার অর্জন করেন।
নাইটলির ছবির কাহিনীতে প্রাধান্য পাবে ডায়ানার জীবনের বিয়োগান্তক ঘটনাগুলো। যেমন, ১৯৯৬ সালে রাজকুমার চার্লসের সঙ্গে বিবাহ-বিচ্ছেদ, ১৯৯৭ সালে প্যারিসে গাড়ি দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু ইত্যাদি। কিন্তু এরই মধ্যে আচমকা আবার নাম উঠেছে স্কারলেট জোহানসনের। এই ছবিটিতে তাকেও সম্ভাব্য নায়িকা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২০০৮ সালে কিরা ‘দ্য ডাচেস’ ছবিতে ডায়ানার এক দূর-সম্পর্কিত আত্মীয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু নির্মাতা কোম্পানি প্যাথ এখন পর্যন্ত কিরা বা মিরেন কারো নামই নিশ্চিত করেনি।
ধারণা করা হচ্ছে, ডায়ানার দুই পুত্র উইলিয়াম ও হ্যারি কেউই ছবি দুটিকে সাদরে গ্রহণ করবেন না। কারণ, দুটি ছবিই অনেক বাদানুবাদ সৃষ্টি করবে। ডায়ানার প্রতি বর্তমান রাজপরিবারের যে দৃষ্টিভঙ্গি অথবা তার মৃত্যু নিয়ে যে রহস্যময়তা, তা নিয়ে ব্রিটেনের জনসাধারণের মাঝে এখনো অনেক আবেগ বিদ্যমান। তাই ছবি নির্মাণ নিয়ে ডায়ানার খুব কাছের ভক্তরা খুব একটা খুশি নন।
মৃত্যুর সময় ডায়ানার সঙ্গে ছিল তার প্রেমিক দোদি ফায়েদ। ফায়েদের ধনকুবের বাবা বিশ্বাস করেন, তার পুত্র এবং রাজকুমারীর মৃত্যুর পেছনে ব্রিটিশ ইন্টেলেজেন্সির হাত রয়েছে।
ছবিতে এসব বিষয় কতটা তুলে ধরা হবে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অন্যদিকে, এত আলোচনা-বিতর্ক যাদের ঘিরে সেই দুই ছবির নাম এখনও নির্ধারিত হয়নি।
আর শেষ খবর হলো, বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে এই দুটি চলচ্চিত্র নির্মাণের বিষয়ে কোনও রকম মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২০২৫, অক্টোবর ২১, ২০১০