‘জাগ্রত করো উদ্যত করো নির্ভয় করো হে’ স্লোগান নিয়ে শুরু হয়েছে থিয়েটার নাট্যোৎসব ২০১০। শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালা ও এক্সিপেরিমেন্টাল হলে এ উৎসব চলবে আগামী ২৯ অক্টোবর শুক্রবার পর্যন্ত।
২৩ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপুমনি আনুষ্ঠানিকভাবে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি সচিক হেদায়েত উল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক কামাল লোহানী এবং বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকী। উদ্বোধনীপর্ব শেষে কলকাতার নাট্য সংগঠন অন্য পেশা নাট্য নেশা নাট্যদল প্রযোজিত ‘ভাইরাস ব ভূত’ নাটকটি প্রদর্শিত হয়েছে। এটি রচনা এবং নির্দেশনা দিয়েছেন দেবকুমার ঘোষ।
২৪ অক্টোবর রোববার ছিল একই দলের নাটক ‘আব্বুলিশ’; এটি লিখেছেন জ্যোতিষমান চট্টোপাধ্যায় এবং নির্দেশনা দিয়েছেন সমিত ব্যানার্জি।
২৫ অক্টোবর সোমবার লোক নাট্যদল সিদ্ধেশ্বরী মঞ্চস্থ করবে ‘কঞ্জুস’। মলিয়ের এ নাটকটি অনুবাদ করেছেন তারিক আনাম খান, নির্দেশনা দিয়েছেন লিয়াকত আলী লাকী। ২৬ অক্টোবর মঙ্গলবার নাটক সরণির ‘থিয়েটার আরামবাগ’ কার্যালয়ে আয়োজন করা হয়েছে একটি সেমিনার।
২৭ অক্টোবর থিয়েটার আরামবাগ পরিবেশন করবে গাজী রাকায়েতের নির্দেশনায় জন্মসূত্র। সময় সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী ২৮ অক্টোবর আকতারুজ্জামানের নির্দেশনায় মঞ্চস্থ করবে ‘শেষ সংলাপ’। উৎসবের শেষ দিন ২৯ অক্টোবর মঞ্চস্থ হবে খম হারূনের নির্দেশনায় ‘বলদ’।
১৯৭২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ‘থিয়েটার’র প্রতিষ্ঠা। প্রথম নাটক ছিল মুনীর চৌধুরীর লেখা ও আবদুল্লাহ আল-মামুনের নির্দেশনায় ‘কবর’। এ পর্যন্ত দলটি মঞ্চে এনেছে ৩৪টি নাটক। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’, ‘ওথেলো’ , ‘সাতঘাটের কানাকড়ি’ , ‘রূপবান’ এবং ‘বলদ’। সম্প্রতি থিয়েটার মঞ্চে এনেছে নাটক ‘জন্মসূত্র’।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২২০৫, অক্টোবর ২৪, ২০১০