এই প্রথমবার আরটিভির প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে ছবি ‘জলদস্যুর রক্ত রহস্য’ বা ‘পাইরেটস দ্য ব্লাড সিক্রেট’। আসছে ঈদে ডিজিটাল ফরম্যাটে নির্মিত ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে।
জলদস্যু, সাগরপথের হাজার বছরের আতঙ্ক! তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে যুগে যুগে মানুষ দিয়েছে অভিশাপ। অভিশপ্ত হয়ে তারা জীবন-মৃত্যুর মাঝখানে আটকে গেছে। পুরো পৃথিবীতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। জল দস্যুদের তাড়া করে বেরাচ্ছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। তাদের দরকার সুধা। সৃষ্টিকর্তার নিয়ম অনুযায়ী এই সুধা পেতে হলে দুই পকেই এক হতে হবে। কেউ কাউকে মারতে পারবেনা। অর্থাৎ সহ অবস্থানে থাকলেই কেবল সুধার সন্ধান পাওয়া যাবে। কিন্তু স্বভাব যায় না মরলে। সুধা পাওয়া গেল ঠিকই, কিন্তু বেঈমানি করল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। জলদস্যুরাও কম যায় না। তারাও নতুন চাল চালল। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সমঝোতায় আসতে বাধ্য হলো। সুধা চলে এলো জলদস্যুদের জাহাজে। সুধা নিয়ে জলদস্যুরা স্বর্গের মত জায়গায় নোঙ্গর করল। আর কোম্পানির জাহাজ ফুটো করে ডুবিয়ে দেওয়া হলো। সুধা পানের আগে জলদস্যুরা এই প্রথম সৃষ্টিকর্তার কাছে মাফ চাইল। তারা স্বীকার করল সৃষ্টিকর্তা মহান তিনি আমাদের মাফ করবেন। কিন্তু অপকর্ম তাদের মাফ করল না। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সেফটি বোটে করে সুধাস্থলে পৌছে যায়। জলদস্যুদের সাথে বাক-বিতন্ডা হয়। জলদস্যুরা সুধার বোতল খালি করে কোম্পানির লর্ডকে ফেরত দেয়। লর্ড রেগে গিয়ে গুলি চালায়।
এরকমই একটি বিনোদনমূলক কল্পকাহিনী নির্ভর চলচ্চিত্র ‘জলদস্যুর রক্ত রহস্য’ বা ‘পাইরেটস দ্য ব্লাড সিক্রেট’। অবশ্য বিনোদন দেওয়ার পাশাপাশি এতে আছে সমাজের জন্য শিামূলক নানা তথ্য। ছবিটিতে আছে একাধিক রুচিলীল নাচ ও গান। এতে অভিনয় করেছেন অহনা, রাশেদ মামুন অপু, অন্তু করিম, রাশেদ বিল্পব, মাজহারুল ইসলাম, সাজু খাদেম এবং হলিউড অভিনেত্রী সিন্ডি রোলিং।