ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০০৯: শ্রেষ্ঠ ছবি ‘মনপুরা’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১০ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১১

ঢাকা: ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০০৯’ এ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে পুরস্কার জিতেছে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘মনপুরা’।

শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হয়েছেন যৌথভাবে চঞ্চল চৌধুরী (মনপুরা) ও ফেরদৌস (গঙ্গাযাত্রা) এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হয়েছেন সাদিকা পারভিন পপি (গঙ্গাযাত্রা)।

শ্রেষ্ঠ পরিচালক হয়েছেন সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড (গঙ্গাযাত্রা)।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০০৯’ ঘোষণা করেন।

আগামী ২৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা-অভিনেত্রী ও কুশীলববৃন্দকে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার দেবেন।

আরও যারা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তারা হলেন- আাজীবন সম্মাননা পেয়েছেন- সুলতানা জামান, শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক- আলম খান (এবাদত), শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক- তানজিল (আমার প্রাণের প্রিয়া), পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা- শহিদুল আলম সাচ্চু (বৃত্তের বাইরে), খল চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা- মামুনুর রশিদ (মনপুরা), শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতা- এটিএম শামসুজ্জামান (মন বসেনা পড়ার টেবিলে), পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী- নিপুন (চাঁদের মতো বউ), শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী- সৈয়দা অহিদা সাবরীনা (গঙ্গাযাত্রা), শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার- জারকান (পল্টু চরিত্রে অভিনয়কারী, ছবি- প্রিয় তমে ষু), শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার- সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড (গঙ্গাযাত্রা), শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার গিয়াসউদ্দিন সেলিম (মনপুরা), শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা- মুস্তবা সউদ (চাঁদের মতো বউ), শ্রেষ্ঠ গায়ক- কুমার বিশ্বজিৎ (স্বামী-স্ত্রীর ওয়াদা), শেষ্ঠ গায়িকা- যৌথভাবে চন্দনা মজুমদার ও কাজী কৃষ্ণকলি ইসলাম (মনপুরা), শ্রেষ্ঠ গীতিকার- কবির বকুল (স্বামী-স্ত্রীর ওয়াদা), শ্রেষ্ঠ সুরকার- কুমার বিশ্বজিৎ (স্বামী-স্ত্রীর ওয়াদা), শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক- মাহফুজুর রহমান খান (বৃত্তের বাইরে), শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক- সুজন মাহমুদ (বৃত্তের বাইরে), শ্রেষ্ঠ সম্পাদক- জুনায়েদ হালিম (বৃত্তের বাইরে), শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক- মো. পলমতর (গঙ্গাযাত্রা), শ্রেষ্ঠ মেকআপ ম্যান- খলিলুর রহমান (গঙ্গাযাত্রা), শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা- সিলিপ সিং (গঙ্গাযাত্রা)।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একটি রাষ্ট্রের বিকাশে সুষ্ঠু চলচ্চিত্রের অবদান অত্যন্ত ব্যাপক। আমাদের সৃজণশীল চলচ্চিত্র নির্মাতারাও একইভাবে আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তিসংগ্রামের বাণী তাদের চলচ্চিত্র দিয়ে মানুষের মাঝে পৌছে দিচ্ছেন। ’

তিনি বলেন, এ যাবৎকালে বাংলাদেশে যে কয়টি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে তার বেশির ভাগই আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে তৈরি।

মৌলবাদের প্রভাব থেকে জাতিকে মুক্ত রাখার ক্ষেত্রেও আমাদের চলচ্চিত্র বিশেষ অবদান রেখে আসছে বলে জানান তিনি।

২০০৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ ব্যাক্তি মনোনয়নের জন্য ১১ সদস্য বিশিষ্ট জুরি বোর্ড গঠন করা হয়।

এই জুরি বোর্ডের সুপারিশের প্রেক্ষিতে সরকার ২৬টি ক্যাটাগরিতে ২৮ ব্যক্তিকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০০৯ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।