ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

ঈদে খাবারে সতর্কতা

ডা. আহমেদ বুলবুল | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১০

ঈদ মূলত ধর্মীয় উৎসব হলেও আমাদের দেশে তা আত্মীয়-স্বজনের সাথে মিলিত হবার সামাজিক উৎসবে পরিণত হয়। সেই সাথে প্রতিটি বাড়িতে শুরু হয় খাবারের মেলা।

যত বেশি খাবারের আয়োজন ও বৈচিত্র্য, তত বেশি আত্মতৃপ্তি। তবে যতই খাবারের আয়োজন থাকুক না কেন, খেতে হবে রয়েসয়ে, শরীরটাকে রাখতে হবে ঠিকঠাক।
 
ঈদে নিজের খাবারের বেলায় যেমন, তেমনি অতিথি আপ্যায়নের বেলায়ও ভাবতে হবে তাদের স্বাস্থ্যের কথা। ঈদের দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে রান্না হয় নানান স্বাদের মুখরোচক খাবার। এ কারণেই কমবেশি সবাইকেই বেশি আহার গ্রহণ করতে দেখা যায়। বিশেষ করে রাতে মিষ্টি ও চর্বিজাতীয় খাবারের বাহুল্য দেখা যায়। আর এতেই বিধিনিষেধ চিকিৎসকদের। কারণ ওই সব খাবার শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। যাদের ডায়াবেটিক, হৃদরোগ ও কিডনিজনিত রোগ আছে তাদের বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ না করে পরিমাণমতো খাবার গ্রহণ করা উচিত। এতে শরীর-স্বাস্থ্য দুটোই ভালো থাকবে, ঈদও উপভোগ করা যাবে আনন্দের সাথে।

ভোজের কোনও দাওয়াত থাকলে ক্ষুধার্ত পেটে না যাওয়া উত্তম। এ সময় কিছু শুকনা খাবার খেয়ে যেতে পারেন। কারণ খালি পেটে খাবার গ্রহণের আগ্রহ বেশি থাকে। আর খাবারে মাংস-পোলাওজাতীয় খাবারের চেয়ে সালাদ, স্যুপ, বোরহানি ধরনের খাবার বেশি খাওয়া যেতে পারে। যারা ব্যায়াম করেন কিংবা ব্যায়াম করার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ রয়েছে, ঈদের দিনও তাদের ব্যায়াম করা উচিত। কারণ বেশি খাবার গ্রহণের ফলে শরীরে বাড়তি ক্যালরি জমে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। রঙিন পানি ও ড্রিংকস পান না করা ভালো। তবে ফল ও ফলের জুস খেতে পারেন।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৭৫৫, নভেম্বর ১৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।