ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

না বলা কথা

ফরিদুল ইসলামি নির্জন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১২
না বলা কথা



তুমি আমার সঙ্গে এ রকম ফিল্মের নায়কদের মতো অভিনয় করতে পারলে? তুমি আমার সঙ্গে এ রকম প্রতারণা করতে পারলে?

তোমার কি মনে পড়েনা সেই দিনের কথা! যেদিন তুমি বৃষ্টির মধ্যে রেইন কোট পড়ে আমার জন্য অপেক্ষা করতে! তুমি কি ভুলে গেছো সে দিনের কথা যেদিন তুমি আর আমি প্রথম মহাস্তানে গিয়ে দু’জন দু’জনের কাছে ভালোলাগা-ভালোবাসার কথা প্রকাশ করি!

তুমি এতো নিষ্ঠুর আমার জানা ছিল না। তুমি আমাকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলে তাই আমি ছাড়তে চেয়েছিলাম আমার বাবা-মাকে, সর্ম্পক নষ্ট করেছি আমার নিজের বোনের সঙ্গে।

সর্ম্পক ছিন্ন করেছি আমার খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে! আমাকে তুমি শুণ্য করে চলে যেতে পারলে!
তোমার কি একটুও মনে পড়েনা! আমারতো সব সময় শুকনো পাতার মতো মনের গহীনে দুঃখগুলো বাজতে থাকে।

যেই তুমি একদিন ঘন কুঁয়াশার মাঝে থর থর কাপা কাপা অব¯’ায় আমার জন্য অপেক্ষা করছিলে আর এখন আমাকে ঘন অন্ধকারে রেখে চলে গেছো। আসলে অর্পতি দিদি ঠিকই বলেছিল পুরুষ মানুষকে বিশ্বাষ করতে নেই সব পুরুষ একই রকম হয়। কিš‘ু আমি আবেগে বিমোহিত হয়ে তখন তার কথা বুঝিনি। অন্যদের উপদেশ উপেক্ষা করে তোমার কথাকেই সবচেয়ে বেশি মূল্যায়ন করেছি, আর সেই তুমি কিনা আজ ..........। আমি এখন কি করব?

তুমিতো চলে গিয়ে বেঁচে গেছো! হয়ত আবার নতুন করে কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করে থাকতে পারবে কিš‘ আমি কি নিয়ে বাঁচব, কিভাবে চলব কারন আমারত সব কিছু তোমার কাছে। চন্দ্রা অভিমান করে এই কথাগুলো হয়ত লিখেছিলো। দুর্ভাগ্য আমার যখন আমি এই চিঠিটা পাই তখন নোভা বেঁেচ নাই । চিঠিটা ছিলো অনেকবড় অভিমান নিয়ে তিপাতার চিঠিটির মধ্যে কিছু পাঠকদের সাথে শেয়ার করলাম। দোষ্টটা হয়ত আমার উপর অনেক পাঠক চেপে দেবেন। তবে আমার কিছু করার ছিলোনা। আমি মুসলিম ধর্মের ছেলে আর চন্দ্রা ছিলো হিন্দু ধর্মের ব্রাক্ষণ ঘরের মেয়ে।

আমাদের ভালবাসাটা প্রথমে ধর্ম নিয়ে শুর“ হয় নাই   দুজন দুজনকে দেখে কথা বার্তায় তারপর ভালোবাসা হয়েছে। যখন জানতে পারলাম আমারা দুজন দু’ধর্মের তারপরও আমারা মেনে  নিলাম। কিš‘ু মেনে নিতে পারে নাই চন্দ্রার পরিবার । আমাকে একদিন চন্দ্রা তার বাসায় যেতে বলল। আমি তাদের বাসায় গেলাম। চন্দ্রাকে র“মের বাহিরে যেতে বলল সে তাই করল। আমাকে বলল তুমি চন্দ্রাকে চাও। আমি বললাম হ্যা। তাহলে এ মাছ দ্যা দিয়ে আমাদের কেটে দু ভাগ করে ওকে নিয়ে যাও চন্দ্রার  মা বলল। বলে আমার পায়ের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে সে কি কান্না আর কান্না । তার বাবা বড় ঠাকুর আমাকে বিয়ে করলে তারা আর এই পৃথিবেিত বেঁচে থাকবে না। আর আমার বাবা তো কখনোই মেনে নিবেন না। আমি তাদের এই কান্নায় ব্যথিত হলাম এবং সেই দিনেই চলে আসলাম কোন এক জায়গায়। পরে আমার বান্ধবী লোপার কাছ থেকে এই চিঠিটি পেয়েছিলাম।



বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।