প্রত্যেক মানুষ সুস্থ থাকার জন্য কত কিছুই না করে। কেউ বেছে বেছে খায়, কেউ বেছে বেছে চলে, কেউ আবার ব্যায়াম করে।
কেউ ময়ূরাসন করছেন দেখলে যে কারো মনে হতে পারে, তিনি বুঝি পাখির মতো উড়তে চেষ্টা করছেন। তবে পাখির মতো উড়ে সতেজ বাতাস খেতে না পারলেও এটি তার দেহের সব বর্জ্যপদার্থ বের করে দেবে। এটি করলে দেহের অভ্যন্তরীণ সব কার্যক্রম ঠিকঠাকমতো চলে।
তবে ময়ূরাসন করতে কোনো জোরাজোরি করবেন না। যতটুকু সহ্য হয় ততটুকু করুন।
কীভাবে করবেন :
* প্রথমে মেঝেতে হাঁটু ভেঙে বসুন
* হাঁটু ফাঁকা রেখে দু পা একসাথে করুন।
* সামনে ঝুঁকুন, হাতের তালু মেঝেতে হাঁটুর মাঝে রাখুন। কনুই ও কলাচী একসাথে করুন।
* সামনে ঝুঁকুন, কনুইয়ের ওপর তলপেট ও বাহুর ওপর বুক স্থির করুন।
* দু পায়ের ওপর ভর দিয়ে পা-দুটো একসাথে করুন।
* পেশিগুলোকে শক্ত করুন এবং আস্তে আস্তে মধ্যশরীর ও পা তুলে ধরুন। সাথে মাথাও তুলে ধরুন।
* বুকের ওর চাপ না দিয়ে তলপেটের ওপর দেহের ভারসাম্য রাখুন।
উপকারিতা :
* এটি দেহের বিপাকীয় অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে।
* দেহের রক্তের মধ্যকার সব বর্জ্যপদার্থ বের করে দেয়। এর ফলে চর্মরোগ হয় না।
* লিভার ও কিডনি ভালো রাখে।
বাংলাদেশ সময় ১৭৪০, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১১