পূজার পোশাক মানেই হচ্ছে লালপেড়ে গরদের শাড়ি। কারণ লাল রঙ শক্তির প্রতীক।
দুর্গোৎসবের মূল আনন্দ হলো মন্দিরে মন্দিরে গিয়ে দেবী দর্শন ও পূজার আচার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ। আনন্দের এ মুহূর্তগুলোকে স্বাচ্ছন্দ্যে উপভোগ করার জন্য পোশাক নির্বাচন করতে হবে বুঝে শুনে।
ষষ্ঠীর দিন থেকেই মূলত উৎসব শুরু হয়। এদিন তাই খুব জমকালো পোশাক এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। সাদা কিংবা যে কোনো হালকা রঙের পোশাক বেছে নিন ষষ্ঠীর দিন।
সপ্তমীর দিন থেকে নবমী পর্যন্ত একটু একটু করে পোশাকের চাকচিক্য বাড়াতে পারেন। সকালে পূজার অঞ্জলি দিতে যাওয়ার সময় অবশ্য সাদামাটা সুতি শাড়ি বেছে নেওয়াই ভালো। রোদের তাপ ও গরমের জন্য দিনের বেলার সাধারণ পোশাকে আরামদায়ক থাকার চেষ্টা করতে হবে। এ সময় পোশাকের রঙ হওয়া চাই হালকা ও মিষ্টি ধরনের। বিকেল বা সন্ধ্যার দিকে একটু ভারী সাজতে পারেন। রাতের বেলা আত্মীয়স্বজনদের বাসায় ঘুরতে যাওয়া হয়। তাই একটু জমকালো সাজটি উপস্থাপন করাই ভাল। টিনএজাররা ঘোরাঘুরির সুবিধার্থে কামিজ কিংবা কুর্তা-ফতুয়া পরতে পারেন।
দশমীর দিন সাজা চাই একেবারে মনের মতো করে। এদিন সিঁদুর খেলা হয়। তাই লাল বা গাঢ় রঙের পোশাক বেছে নেওয়াই ভালো। দশমীর দিন তাঁত বা জামদানি বা ঐতিহ্যবাহী গরদের শাড়িটি।
ছেলেদের পূজার পোশাক মানেই ধুতি-পাঞ্জাবি। এক সময় কেবল সাদা রঙের ধুতির প্রচলন ছিল। কিন্তু এখন সাদার পাশাপাশি মেরুন, ঘিয়া, সোনালি, সবুজ কিংবা লাল রঙের ধুতিও পরছেন সবাই। যারা মধ্যবয়স্ক তারা অবশ্য সাদা রঙের ধুতি বেছে নিলেই ভালো করবেন। তরুণরা বাহারি রঙের ধুতি পরতে পারেন। সকালে অঞ্জলি দিয়ে যাওয়ার সময় সুতির পায়জামা-পাঞ্জাবি কিংবা ট্রাউজার-ফতুয়ায় স্বস্তিবোধ করেন অনেকে। বিকেলে বন্ধুদের আড্ডায় টি-শার্ট, হাফ শার্ট আরামদায়ক হবে। ধুতি অথবা পায়জামার সঙ্গে হাল ফ্যাশনের শর্ট পাঞ্জাবি গায়ে চাপিয়েও ঘুরতে বেরিয়ে পড়তে পারেন। সন্ধ্যার অনুষ্ঠানে ধুতি-পাঞ্জাবির সঙ্গে উত্তরীয় জড়িয়ে নিলে পূজার আভিজাত্য ও গাম্ভীর্য ফুটে উঠবে বেশ।
কমবয়সীরা শাড়ির পাশাপাশি বেছে নিতে পারেন সালোয়ার-কামিজ কিংবা জিন্স-ফতুয়া ও কুর্তাকে। লাল-সাদার পাশাপাশি বিভিন্ন উজ্জ্বল রঙ উঠে আসতে পারে পূজার পোশাকে। বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজে নীল, সবুজ ও বেগুনির মতো রঙগুলোও শোভা পাচ্ছে উৎসবের পোশাকে।