সাধারণত আমরা জানি মানুষ বুড়ো হলেই চুলে পাক ধরে। কিন্তু অনেক সময় আমাদের হতাশ করে দিয়ে সুন্দর চুলগুলো পাকতে শুরু করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে যদি কোনো কারণে চুলের গোড়ার মেলানোসাইট কোষ নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়, তাহলে মেলানিনের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চুলের রং সাদা হতে শুরু করে।
আসলে চুল পাকার কোনো নির্দিষ্ট বয়স নেই। এটা যে কোনো বয়সেই হতে পারে। বংশগত কারণেও অনেকের মধ্যে অল্প বয়সে চুল পাকার প্রবণতা দেখা দেয়। এছাড়া পুষ্টির অভাব, বেশি জ্বর, দীর্ঘমেয়াদি কোনো অসুখ এবং মানসিক দুঃশ্চিন্তাকে অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন বিশেষজ্ঞরা।
চুল পাকলে করণীয়
সত্যি কথা হলো পাকা চুল কালো করার স্থায়ী কোনো উপায় নেই। পাকা চুল কালো করার কোনো ওষুধ আজ পর্যন্ত আবিস্কার করা যায়নি। তবে যেসব রোগের জন্য চুল পেকে যায়, সে রোগের চিকিৎসা করলে চুল পাকা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
এছাড়া চুল কালো করার জন্য বাজারের কিছু কলপ বা রঙ ব্যবহার করে সাময়িক সমাধান পাওয়া যায়।
তবে অনেকেরই কলপে এলার্জি হতে পারে, তাই কলপ ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কলপ মাখার আগে ত্বকে একটু ঘষে নিয়ে, কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে যদি এলার্জি না দেখা দেয়, তবেই চুলে মাখুন।
সাদা চুল স্থায়ীভাবে কালো হবে এমন চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে এসব কোম্পানির ফাঁদে পা দেওয়া কোনো বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।
সব থেকে ভালো হয় সাদা চুল নিয়ে অসস্তিবোধ না করে এটাকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিয়ে জীবনে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া।