ব্যস্ত দিনের শেষে কফিতে চুমুক দিলে সারা দিনের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। এতো আমরা সবাই জানি।
দেহের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে আন্টি-অক্সিডেন্টের ভূমিকা অপরিসীম। গবেষকরা প্রমাণ করেছেন, কফি হচ্ছে আন্টি-অক্সিডেন্টের সবচেয়ে বড় উৎস। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় আন্টি-অক্সিডেন্টের প্রধান সরবরাহকারী হিসেবে উঠে এসেছে এই কফির নাম।
সুইডেনের ক্যারোলিন্সকা ইন্সটিটিউটের গবেষকরা বলছেন, “প্রতিদিন দুই মগ কফি ৪৩% পর্যন্ত লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। ”
অন্যদিকে, নিউজার্সি স্টেট ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখেছেন, সাদা চামড়ার মানুষরা যেহেতু কালোদের তুলনায় বেশিমাত্রায় স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকিতে থাকেন, তারা যদি নিয়মিত কফি পান করেন তবে এর মাত্রা কয়েকগুণ পর্যন্ত নেমে আসতে পারে। অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাবে যে সব ত্বক-কোষ ক্ষতিগ্রস্থ হয় (ক্যান্সার সৃষ্টিকারক) তা নির্মূলে কফি চমকপ্রদ ভুমিকা পালন করে।
৬৫ বছরের বেশি বয়স্কদের জন্য পরামর্শ হচ্ছে, আপনারা আপনাদের কফির প্রতি ভালোবাসা অক্ষুন্ন রেখে চলুন। কেননা এই বয়সের হৃদরোগের ঝুঁকি অর্ধেক পর্যন্ত কমিয়ে আনতে সক্ষম এই পানীয়।
ফ্লোরিডার অ্যাল্ ঝেইমার ইন্সটিটিউটের গবেষক ড.হ্যারি যখন বলেন, কফিতে উপস্থিত ক্যাফেইন ব্রেইনে অতিরিক্ত অ্যামাইলয়েড গঠনে বাধা দিয়ে অ্যাল্ ঝেইমার রোগের ঝুঁকি কমায়, তখন আমরা কফিকে নিয়ে নতুন করে ভাবতেই পারি।
এদিকে হার্ভাড মেডিকেল বিদ্যালয়ের একদল হার্ভাড মেডিকেল বিদ্যালয়ের একদল গবেষকদের মতে, যেসব নারীরা দৈনিক দুই থেকে তিনবার কফি পান করেন তারা কম হতাশায় ভোগেন। কফির মূল উপাদান ক্যাফেইন এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে। যারা কফি পান করেন না তারা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন।
তাদের গবেষণায় আরও দেখা যায়, যারা সপ্তাহে দুই থেকে তিন কাপ কফি পান করেন তারা শতকরা ১৫ ভাগ কম হতাশায় ভোগেন। আর যারা দিনে চার বা তার থেকে বেশি কাপ পান করেন তারা শতকরা ২০ ভাগ কম হতাশায় ভোগেন।
সারাদিনের ক্লান্তি ঘুচাতে হোক না এক মগ কফি !!