ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

শীতে চুলের দাওয়াই

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৫
শীতে চুলের দাওয়াই

এসময় বাতাসে ধূলোবালি বেশি। ফলে চুল হয়ে যায় রুক্ষ, শুষ্ক ও নিষ্প্রভ, সঙ্গে খুশকির যন্ত্রণা তো আছেই।

তাই শীতে চাই চুলের বাড়তি যত্ন। ঘরে বসে কিছু সহজ উপায়েই আপনার চুলকে রাখতে পারেন সুন্দর ও মসৃণ।

কি করে, জেনে নিন:

অলিভ অয়েল- অলিভ অয়েল স্ক্যাল্প ও চুলের জন্য খুব ভালো সল্যিউশন। অলিভ অয়েল হালকা গরম করে স্ক্যাল্প ও চুলে লাগান। ১৫ মিনিট রাখুন। এরপর গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে নিংড়ে মাথায় পেচিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর শ্যাম্পু করুন। এটি চুলের কন্ডিশনিং এর কাজও করবে।

ডিম- ডিম প্রোটিনের ভালো উৎস। ডিম চুলকে বড় ও মজবুত হতে সাহায্য করে।   সপ্তাহে একদিন চুলে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট করতে পারেন। ডিমের সাথে ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে চুলে লাগান, কিছুক্ষণ রাখুন। গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে মাথায় ২০ মিনিট জড়িয়ে রাখুন। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এক্ষেত্রে গরম পানি ব্যবহার না করাই ভালো।

কলা- কলাতে যথেষ্ট পরিমাণ পটাশিয়াম, প্রাকৃতিক তেল ও ভিটামিন আছে যা চুলের রুক্ষতা দূর করে রাখে মসৃণ। মিক্সারে পাকা কলা, ডিমের সাদা অংশ দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এতে ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে  চুলে লাগান। ২০ মিনিট বাদে ধুয়ে ফেলুন।

দুধ ও মধু- চুলের জেল্লা বাড়াতে দুধের জুড়ি নেই। কাঁচা দুধে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। ১৫ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে নিন।  

নারকেলের দুধ- নারকেলের দুধ চুলকে রিপেয়ার করে। এছাড়াও এটি ভালো কন্ডিশনার। নারকেলের দুধ চুলে পাঁচ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করুন। হট টাওয়েল ট্রিটমেন্ট নিন। শ্যাম্পু করে ফেলুন।

মধু- চুলের ভালো দাওয়াইগুলোর মধ্যে মধু অন্যতম। এটি রুক্ষ চুলকে সু¯’ করে তোলে। চুলের গোড়ায় ও পুরো চুলে মধু লাগিয়ে ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করুন। কিছক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।

ভিনেগার- শ্যাম্পু করার পর এক মগ পানিতে ১/২ কাপ ভিনেগার মিশিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এটি কন্ডিশনারের কাজ করবে। এটি চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে। ঠিক একই উপায়ে লেবু ব্যহার করতে পারেন।

শসা- শসা শুষ্ক ও রুক্ষ চুলকে সারিয়ে তোলে। এটি চুলে সিল্কি ভাব আনে। শসা ব্লেন্ড করে তাতে অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলে লাগান। আধাঘণ্টা পর শ্যাম্পু করুন।

সমস্যা যখন খুশকি-
এসময়ে চুলের বড় সমস্যার মধ্যে খুশকি অন্যতম। খুশকি রোধ করতে চুলকে নিয়মিত শ্যাম্পু ও কন্ডিশনিং করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে এন্টি ড্যান্ড্রাফ শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার বাছাই করা উত্তম।

কন্ডিশনার- কন্ডিশনার চুলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত চুল শ্যাম্পূ করার পর কন্ডিশনিং করতে হবে। কন্ডিশনার চুলের রক্ষাকবজ হিসেবে কাজ করে, চুলকে নরম রাখে ও ভঙ্গুরতা থেকে বাঁচায়। শ্যাম্পু করার পর ভেজা চুলে কন্ডিশনার লাগান। তিন মিনিট রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। বাজারে স্ক্যাল্প ও চুলের জন্য আলাদা কন্ডিশনার পাওয়া যায়। শীতে চুল পরিষ্কার করার সময় হালকা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন। তবে পানি যেন বেশি গরম না হয়। এতে চুল ভালোভাবে পরিষ্কার হবে, খুশকি দূর হবে ও কোমল থাকবে।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।