ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

শিশুর সুস্থতায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০১৫
শিশুর সুস্থতায়

“Breastfeeding and Work, Let’s Make it work” অর্থাৎ 'কাজের মাঝে শিশু করবে মায়ের দুধ পান, সবাই মিলে সবখানে করি সমাধান' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতিবছরের মতো এবারো আগস্ট মাসের ১ – ৭ তারিখ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালিত হচ্ছে।

এবারের মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের বক্তৃতায় বিগত সাড়ে ছয় বছরে মা ও শিশুর উন্নয়নে সরকারের নেয়া পদক্ষেপ ও অগ্রগতির খবর জানানোর পাশাপাশি বর্তমান সরকার শিশুপুষ্টির সুরক্ষায় “মাতৃদুগ্ধ বিকল্প শিশুখাদ্য এবং বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য ও এর ব্যবহারের সরঞ্জামাদি (বিপণন নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩”  প্রণয়ন করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।



বাংলাদেশের শিশুপুষ্টির উন্নয়নে এই আইনটি একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এই আইনে বিকল্প শিশুখাদ্য বা কৌটার দুধ এবং এসব খাদ্য ব্যবহারের সরঞ্জাম প্রস্তুতকারি, বিপণনকারী ও আমদানিকারকদের কঠোর লাগাম পরানোর পাশাপাশি শিশুখাদ্য হিসেবে বুকের দুধ ও ঘরে তৈরি খাবারকে উৎসাহ দেয়া হয়েছে।
 
এটা প্রমাণিত যে বুকের দুধ শিশুর শ্রেষ্ঠ খাবার। জন্মের পরপরই শিশুকে শালদুধ খাওয়াতে হবে। এরপর প্রথম ছয় মাসে শুধুই বুকের দুধ। শিশুর ছয় মাস থেকে দুইবছর বয়স পর্যন্ত বাসায় তৈরি খাবার পাশাপাশি বুকের দুধও চলবে। এটাই শিশুর পুষ্টির শ্রেষ্ঠতম উপায়। অথচ বিকল্প শিশুখাদ্যের চটকদার বিজ্ঞাপন দেখলে যেন মনে হয় শিশুকে বিকল্প শিশুখাদ্য বা কৌটার দুধ বা শিশুখাদ্য না খাওয়ালেই শেষ! তাদের এই বিজ্ঞাপন, টক শো, রান্নার অনুষ্ঠান, এ্যাগ্রেসিভ মার্কেটিং, কিছু অসাধু ডাক্তার ও ফার্মেসির সাথে সমঝোতার ফাঁদে পড়ছেন অনেক সচেতন বাবা-মা।

তাই গত সাড়ে ছয় বছরে সরকারের প্রণীত আইনগুলির মধ্যে এই আইনটি জনস্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বের দাবি রাখে। এই আইনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে শূন্য থেকে পাঁচ বছর বয়সী সকল প্রকার শিশুখাদ্য ও এর ব্যবহারের সরঞ্জামাদির বিজ্ঞাপন। মাতৃদুগ্ধ বিকল্প শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, বিপণনকারী ও সংশ্লিষ্টদের জনস্বাস্থ্য বিরোধী বাজার আগ্রাসনে কঠোর লাগাম পরানো হয়েছে এই আইনে, শূণ্য থেকে পাচঁ বছরের শিশু ও মাকে দেয়া হয়েছে স্বস্তি।  

কিন্তু, শক্তিশালী এসব বিকল্প শিশুখাদ্য প্রস্তুত ও বাজারজাতকারীরা বসে নেই। তারা তাদের আগ্রাসী প্রচারণা ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছে।

আর এসব গুড়া দুধ খেয়ে শিশুরা অপুষ্টিতে ভূগছে। কারণ, বিকল্প শিশুখাদ্যে অনেক ক্ষতিকর উপাদান থাকে যা থেকে বাড়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকি।

এবারের মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহে সবাই চাই “মাতৃদুগ্ধ বিকল্প শিশুখাদ্য এবং বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য ও এর ব্যবহারের সরঞ্জামাদি (বিপণন নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩” এর বিধি যতদ্রুত সম্ভব প্রণয়ন করা হোক। শিশুরা সুস্থভাবে বেড়ে উঠুক।

লেখক: Promote BMS law, শিশু পুষ্টি সুরক্ষায় একটি অনলাইন উদ্যোগ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।