আমাদের উত্তরটি যদি হয় একেবারেই না-বোধক, অথবা পাঁচ-দশ মিনিটের হাঁটার পথ অতিক্রমের দায়িত্ব যদি আমরা রিক্সার ওপর ছেড়ে দিতেই পছন্দ করি, বাড়ি বা অফিসের দু’ তিন তলায় উঠতেও যদি লিফটের সাহায্য নিই, তবে নিশ্চিত করে বলা যায়, হাঁটার দারুণ কিছু উপকারিতা থেকে আমরা প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছি।
ডায়াবেটিস প্রিভেনশান প্রোগ্রামের মতে, সপ্তাহে ১৫০ মিনিট হাঁটা প্রায় ৫৮% পর্যন্ত ডায়াবেটিস হবার ঝুঁকি কমায়।
হাঁটার ফলে উচ্চরক্তচাপ কমে, এটা স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, পঞ্চাশোর্ধ মহিলারা যারা প্রতিদিন প্রায় এক মাইলের মত হাঁটেন তাঁদের হাড় ক্ষয়ের মাত্রা তিনগুন পর্যন্ত কমে যায়। এই বয়সে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেটের উপর ব্যাপক নির্ভরশীলতা কমাতে হাঁটার কোনো বিকল্প নেই।
সম্প্রতি এক গবেষণায় গবেষকরা দেখেছেন, যারা প্রতি সপ্তাহে মাত্র দেড় ঘন্টাও হাঁটেন তাদের মানসিক দক্ষতা না হাঁটা দলের তুলনায় বেশ লক্ষণীয় মাত্রায় বেশি।
সপ্তাহে মাত্র তিনদিন যদি ত্রিশ মিনিট করে হাঁটা হয় তবে, আমাদের হৃদপিন্ড ও ফুসফুসের কর্মদক্ষতা বেড়ে যাবে।
জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির, নিউরোসায়েন্স ডিপার্টমেন্টের গবেষণায় উঠে এসেছে যে, প্রায় ৪৭% পর্যন্ত ডিপ্রেসানের লক্ষণসমূহ দূরীভূত হয়, শুধুমাত্র যদি প্রতিদিন নিয়ম করে ২০-২৫ মিনিট হাঁটা হয়। আর এর ফলে মন হবে দারুণ গভীর ঘুম হবে ।
আর আপনার প্রিয় মানুষটি যদি আপনার পাশে থাকে তবে অল্প দূরত্বের পথটি না হয় হেঁটেই গেলেন। এতে ঐ মানুষটিকে আপনার পাশে কিছুক্ষণ সময় বেশিই পাবেন। যা হয়তো দৃঢ় করবে আর বন্ধুতায় ভরে দেবে আপনাদের আগামী দিনের যাত্রাগুলো।
জয় হোক পদযাত্রার...
সূত্রঃ ইন্টারনেট