তরুণ জুকারবার্গের স্বপ্নের ফেসবুক আজ বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের একটি। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের জনপ্রিয়তা বাংলাদেশেও তুঙ্গে।
১৮ বছরের কম বয়সী ছেলেমেয়ে ফেসবুকের নীতিমালা না জেনে ফসবুকে নিজের অ্যাকাউন্ট খুলে তা ব্যবহার করে।
ফেসবুকে যেমন হাজারো সুবিধা রয়েছে তেমনি ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকারও হচ্ছেন।
আমাদের অসচেতনতার সুযোগ নিয়ে অনেকে ফেসবুকে বন্ধু না হয়েও সব তথ্য (প্রোফাইল ইনফো) এবং ছবি দেখতে পারে। এসব সমস্যার সমাধান সহজেই করা যায়।
এজন্য আমাদের গোপনীয়তায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে।
ফ্রেন্ড লিস্টে গিয়ে প্রাইভেট গ্রুপিংয়ের মাধ্যমে নতুন লিস্ট তৈরি করে ফেসবুকে বন্ধুদের তালিকা আলাদা করা যায়। পরিবার, স্কুল, কলেজ বা অফিসের বন্ধুদের তালিকা আলাদা রাখলে সবারই নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
ফেসবুকের সার্চ অপশন ব্যবহার করে সহজেই মানুষকে খুঁজে পাওয়া যায়। তবে এটি বন্ধ করা যায়, এমনকি ব্যবহারকারী যে নেটওয়ার্কের সদস্য, সেটি থেকেও তাঁর উপস্থিতি লুকানো সম্ভব। সার্চ অপশনে গিয়ে কারা সার্চ করতে পারবেন, এটি বাছাই করা যাবে।
অনেক সময় দেখা যায়, গুগলে কারও নাম দিয়ে সার্চ করা হলে, সেখানে সেই ব্যক্তির ফেসবুকের ঠিকানা চলে আসে। এভাবে যেকোনো অনাকাঙ্খিত ব্যক্তি নির্দিষ্ট কারও সব তথ্য পেতে পারে বা তাকে খুঁজে বের করতে পারে। এটি করার জন্য ‘সার্চ প্রাইভেসি সেটিং’ পেজে গিয়ে ‘পাবলিক সার্চ রেজাল্ট’ থেকে টিক চিহ্ন তুলে দিতে হবে।
ব্যবহারকারীর অজান্তে দেখা যায়, তাঁর কোনো ব্যক্তিগত ছবি বা অন্য কারও ছবি যোগ হয়ে যায় (ট্যাগ করা) এবং ব্যবহারকারীর বুন্ধরা সেটি দেখতে পান। প্রাইভেসি সেটিংসে গিয়ে ‘ফটোস ট্যাগড অব ইউ’-এ গিয়ে ‘ওনলি মি’ অপশন বাছাই করে দিলে কেউ আর কোনো ছবি যোগ করতে পারবে না।
অনেক সময় বিকৃত রুচির কিছু ফেসবুক ব্যবহারকারী ছবি ও ভিডিও দিয়ে থাকে যেগুলো বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করে। এক্ষেত্রে সেই পোষ্টটি হাইড করে রাখতে পারেন।
অপরিচিত কাউকে ফেসবুকে বন্ধু করা ঠিক নয়, তারপরেও কারও অনুরোধ রক্ষায় যদি বন্ধু করে নেওয়া হয়, আর সে যদি বন্ধুত্বের বদলে সমস্যা তৈরি করতে থাকে। তবে ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে রিমুভ করে দিন।
নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব রক্ষা করি।