নিজেই একটা কিছু করতে চেয়েছিলেন সৈয়দ রবিউস সামস। যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ মেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম বি এ শেষ করে ২০১৪ সালে দেশে ফিরে অন্যের অধীনে চাকরি না করে কীভাবে নিজে নিজে কিছু একটা করা যায়, এটা নিয়ে বেশ কিছুদিন ভাবেন তিনি।
সুযোগও চলে আসে ‘ডিজিটাল ডিজাইনিং’ প্লাটফর্ম নিয়ে কাজ করার। রবিউস সামস বলেন, প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে দেশে বাড়ছে গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা। সেই সাথে এই সেক্টরে আউট সোর্সিং করেও অনেকের স্বচ্ছলতা এসেছে। এবিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে ডিজিটাল ডিজাইনিং (কম্পিউটারের মাধ্যমে করা সবধরনের নকশা) নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
গড়ে তোলেন তার ডিজাইন ফার্ম র’দিয়া মিডিয়া আই এন সি। আর তার এই কাজের স্বীকৃতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রফেশনাল ফেলো প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দেয় তাকে। মাসব্যাপী প্রফেশনাল ফেলো প্রোগ্রাম ২০১৬ শেষ করে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন এই তরুণ।
বাংলানিউজকে রবিউস সামস বলেন, ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের মাসব্যাপী প্রফেশনাল ফেলো প্রোগ্রাম মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের যুব উদ্যোক্তাদের ও তাদের একে অন্যের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনের জন্য কাজ করা। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ ব্যবসায়িক উদ্যোগ, ব্যবসায় প্রশাসন, সরকার, এনজিও ও শিক্ষা ক্ষেত্রকে পরিচিত করানো এবং বিভিন্ন উদ্যোগের সমন্বয়ও করা হয়।
বাংলাদেশ থেকে সৈয়দ রবিউস সামস, জেনল্যাবের উদ্যোক্তা রাতুল দেব, মণ্ডল এগ্রো’র পরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামান এবং ড্রিমকাস্ট মার্কেটিং’র ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন চৌধুরী এই ফেলো হওয়ার সম্মান অর্জন করেন।
ফেলো প্রোগ্রামের শেষ সপ্তাহে অর্থাৎ গত ৩১ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানি ওয়াশিংটন, ডি সিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রফেশনাল ফেলো কংগ্রেস স্প্রিং ২০১৬। যেখানে বিশ্বের ৪৩টি দেশের ২৬৩ জন তরুণ উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন।
আনুষ্ঠানিক ব্যস্ততাগুলোর শেষে হোয়াইট হাউস, ক্যাপিটাল, মনুমেন্ট, লিঙ্কন মেমোরিয়াল, বিভিন্ন যাদুঘর আর শপিংমলগুলো ঘুরে বেড়ানো ছিলো অংশগ্রহণকারীদের জন্য বাড়তি পাওয়া।
গেলর্ড সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ কলেজ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা উন্নয়ন কেন্দ্র, ব্র্যাক মায়ানমার ও ভারতের উদ্যোক্তা উন্নয়ন ইনস্টিটিউট যৌথভাবে এই ১০ তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচ সপ্তাহ ব্যাপী ফেলোশিপ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের আয়োজন করে।
রবিউস সামসসহ অন্যরাও মনে করেন, এই ফেলোশিপের অভিজ্ঞতা তাদের সামনের দিনের কাজ এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।