নিপুণের প্রধান ডিজাইনার ফয়সাল মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, এবারের ঈদটা একেবারেই গরমের সময়ে হচ্ছে, সেই সঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই আবহাওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে অন্যতম প্রধান এই উৎসবের যোগসূত্র চিন্তা করেই পোশাক করা হয়েছে।
সালোয়ার কামিজের বেলায় গোটা ফ্যাশন জগতেই গত দুই বছর ধরেই ফ্যাশনের প্যাটার্নের চেঞ্জ এসেছে। সেটা সালোয়ার কামিজের প্যাটার্ন, কাটিং এবং রং-এর ক্ষেত্রেও, নিপুণেও তাই।
এবারে জয়সিল্ক, লিনেন, সুতি, তাঁতসুতি, স্লাবসুতি, ভয়েল কাপড়ের সালোয়ার কামিজে রয়েছে বৈচিত্র্যের সমাহার। নীল, লাল, ফিরোজা, ম্যাজেনন্টা, কমলা, মেরুন, গোলাপিসহ নানা উজ্জ্বল রংগুলো এবারে ব্যবহার করা হয়েছে। আর পোশাকের আভিজাত্য বোঝাতে সেখানে করা হয়েছে নানা হাতের কাজ, তবে এবার হাউসগুলোতে পোশাকে প্রাধান্য পেয়েছে কম্পিউটার অ্যামব্রয়ডারি আর বেনারশি মোটিভ। কামিজের হাতায়, বুকে ও গলায় করা হয়েছে নানা নান্দনিক ডিজাইন। সেই সঙ্গে রয়েছে ব্লক প্রিন্ট, স্ক্রিন প্রিন্ট, মেশিন অ্যামব্রয়ডারি, হাতের কাজের প্রাধান্য।
ঈদের সময়টায় পোশাকগুলো ভিন্ন আমেজের হয় জানিয়ে ফয়সাল মাহমুদ বলেন, ফ্লোরাল এবং বেনারশি মোটিভের কাজগুলো এবার আমাদের বিশেষত্ব। সঙ্গে সালোয়ার হিসেবে আছে পালাজ্জো এবং নরমাল সালোয়ার। সিল্কের ওড়না এবং সুতি ওড়নাতে রয়েছে নানা রং ও কাজের মিশেল। সালোয়ার কামিজের পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন ডিজাইনের টপস এবং কুর্তি।
এবার সবাই একটু লং গাউন টাইপের পোশাক পছন্দ করছেন, একটু জমকালো কাজের মধ্যে দেশি হাউসগুলোতেও পেয়ে যাবেন এমন পোশাক।
দেশি হাউসগুলো পোশাকের দাম রেখেছে ক্রেতার সাধ্যের মধ্যেই।