প্রতিনিয়ত বাড়ছে ইউটিউব ব্যবহারকারীর সংখ্যা, আর সাথে সাথে বাড়ছে এর বহুমাত্রিক ব্যবহারও। এ কারণে এটি বর্তমানে ভিডিও কনটেন্ট শেয়ারিং-এর মাধ্যমে অর্থ উপর্জনেরও একটি সম্ভাবনাময় উৎস হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সারা বিশ্বে ইউটিউব ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ বিলিয়নেরও বেশি। ইউটিউব এখন শুধু ব্যক্তিগত ভিডিও শেয়ারিং-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। প্রোডাক্ট রিভিউ, লাইফস্টালই সাজেশন, স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শ ও প্রযুক্তি বিষয়ক টিপসের মতো অসংখ্য বিষয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে ইউটিউব। ইউটিউবের সবচেয়ে ইতিবাচক দিকই হচ্ছে এর উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম।
যেকোনো ব্যক্তি যেকোনো গ্রহণযোগ্য বিষয়ের ওপর কনটেন্ট তৈরি করে তা উপস্থাপন করতে পারেন ইউটিউবের মাধ্যমে। আর এই কনটেন্ট যদি বহু সংখ্যক দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়, তাহলেই তৈরি হতে পারে অর্থ উপার্জনের সুযোগ।
ব্যবহারকারীদের মানসম্মত কনটেন্ট তৈরিতে উদ্বুদ্ধ করতে ‘মনিটাইজ’ অর্থাৎ বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের সুযোগ করে দেয় ইউটিউব। এই বিশেষ সুযোগের ফলে যেকোনো ব্যক্তির পক্ষেই অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। প্রয়োজন শুধু মানসম্মত ভিডিও কন্টেন্ট। Businessinsider.com-এ প্রকাশিত তথ্য মতে, ২০১৬ সালে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ইউটিউবার ফেলিক্স শেলবার্গের বার্ষিক আয় ছিল ১৫ মিলিয়ন ডলার।
শেলবার্গের ইউটিউব চ্যানেলের বর্তমান সাবসক্রাইবারের সংখ্যা ৫ কোটিরও বেশি।
বাংলাদেশেও ইউটিউবের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। দেশব্যাপী ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে ইউটিউব ব্যবহারকারীর সংখ্যা। মূলত তরুণ প্রজন্মের মাঝেই এর জনপ্রিয়তা বেশি। সালমান মুক্তাদির, শৌভিক চৌধুরী ও রাবা খানের মতো অনেকেই আজ ইউটিউব সেলিব্রেটি। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় অনবদ্য সব ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে তারা চলে এসেছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। বাংলাদেশে একটি বিকল্প মিডিয়া হিসেবে ইউটিউবের গ্রহণযোগ্যতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে উইটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মকে আরও কার্যকরভাবে ব্যবহার করা প্রয়োজন। এতে করে বর্হিবিশ্বে যেমন বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে, তেমন দেশের তরুণ প্রজন্মের প্রতিভা বিকাশ ও ভিন্ন ধারার কর্মসংস্থান তৈরির সুযোগ সৃষ্টি হবে।
লেখা: রাতুল পাল