এজন্য দরকার টাইম ম্যানেজমেন্ট, প্ল্যানিং আর স্ট্রেস ম্যানেজ করার উপায়।
স্ট্রেস চিহ্নিত করুন
বাসায় বাজার নেই, অফিসে জরুরি প্রেজেন্টেশন, বাচ্চার হোম ওয়ার্ক, কাজের লোক ছুটিতে, সন্ধ্যায় দাওয়াত? দেখুন তো কোন ব্যাপারটায় আপনি স্ট্রেস অনুভব করেন, সেগুলো এক এক করে লিখে ফেলুন।
কী করবেন?
* যেকোনো পরিস্থিতিতে দু বার ভাবুন, যে চাপ আপনি অনুভব করছেন, তা আসলে কতটা স্ট্রেসফুল।
* কীভাবে প্রতিটি কাজ আনন্দদায়ক করা যায় ভাবুন। সেক্ষেত্রে মিউজিক কাজ করবে টনিকের মতো। যেমন- সারাদিন পর বাড়ি ফিরে সরাসরি রান্নাঘরে নয়, আপনার পছন্দের কোনো মিউজিক চালিয়ে দিন এবং ফ্রেশ হয়ে নিন।
* তবে অফিস থেকে ফিরে শুয়ে না পড়া ভালো। তাহলে আরো বেশি কান্ত লাগবে। শাওয়ার নিয়ে নিতে পারেন। তারপর চা খেতে খেতে গল্প করতে পারেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কিংবা টিভি বা ফেসবুক খুলে বসতে পারেন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে দেখতে পারেন সব বন্ধুদের অবস্থা।
* সবাই মিলে রাতের খাবার খান এবং সুযোগ থাকলে ঘুমাতে যাবার আগে জীবনসঙ্গীকে নিয়ে বাইরে হেঁটে আসুন। যদি সে সুযোগ না থাকে ছাদে বা বারান্দায় কিছুক্ষণ সময় কাটাতে পারেন।
* সপ্তাহের সবদিন যাই করুন না কেন চেষ্টা করবেন ছুটির দিন তা না করতে।
* অফিসে দরকারি কাজগুলো আগে করে ফেলুন। দেখবেন টেনশন কমে যাবে। দুপুরের পর কাজ করার ইচ্ছা কমে আসে।
* নিজের কাজ করুন ঠিকমতো। সেই সাথে মনে রাখবেন সবাইকে খুশি করা আপনার পক্ষে সম্ভাব নয়।
* মাথা গরম হয়ে গেলে বা ডিপ্রেশড লাগলে যদি পারেন কিছুক্ষণের জন্য একা হয়ে যান। মুখে পানি দিন অথবা দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে কিছুক্ষণ ভিতরে রাখুন এবং আস্তে আস্তে ছাড়–ন।
* মাঝে মাঝে পার্লারে গিয়ে নিয়ে নিতে পারেন স্পা বা ফুট মাসাজ কিংবা ওয়েল ট্রিটমেন্ট। কান্তি কেটে যাবে সেই সাথে লাগবে বেশ ফুরফুরে।
* যেটা হয়ে গেছে তা নিয়ে অযথা ভেবে মন খারাপ করবেন না। সামনে আরো দিন পড়ে আছে।
* এই সবকিছু ব্যালেন্স করার জন্য চাই এনার্জি। তাই অল্প করে খান, তবে খাবার স্কিপ না করবেন না।
প্রতিদিন মাত্র নিজের যত্নে ৩০টা মিনিট দিন, যেকোনো ব্যায়াম করুন, হাঁটুন বা নাচুন।