আমরা কি জানি বিশ্বের নাম করা এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যারা প্রতিদিনের কাজ শুরু করেছেন, সেই ভোরে। এদের মধ্যে মার্গারেট থ্যাচার, ওয়ারেন বাফেট সকাল ৫ টায় উঠে যেতেন বিছানা থেকে।
সকালে আমাদের কর্মক্ষমতা এবং উৎপাদনশীলতা অন্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি থাকে। আর রাতে ভালো ঘুমের পর আমরা শারীরিক ও মানসিকভাবেও বেশ ফুরফুরে মেজাজে থাকি। তাই এই সময়ে যেকোনো জরুরি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলে তা সঠিকভাবে নেওয়া সম্ভব। জীবনে সফল হতে চাইলে সকাল ৮টার আগে যে পাঁচটি কাজ করতে হবে:
ব্যায়াম
প্রতিদিন সাধারণত আমরা যে সময়ে ঘুম থেকে উঠে কাজ শুরু করি ব্যায়াম করার জন্য একটি ঘণ্টা তো দূরের কথা বিশ মিনিটের সময় বের করাও কঠিন। কিন্তু আমরা যদি সকাল ৬টা থেকে দিন শুরু করি তবে দেখুন কত সময়। হাঁটা বা ফ্রিহ্যান্ড এক্সারসাইজ আর ইয়োগা যে কোনোটি করতে পারেন। আবার ঘরের টুকিটাকি কাজ করলেও কিন্তু আমাদের ওয়ার্ক আউটটা হয়ে যায়।
কাজের তালিকা
সারাদিনের জন্য কাজের পরিকল্পনা করে নিন। একটি ডায়েরিতে জরুরি তালিকা করে রাখলে কাজ করা সহজ হবে। ও আরেকটি বিষয়, আমরা শুধু কাজের তালিকার কথা বলি। কিন্তু কাজের ফাঁকে যে বিশ্রাম নিতে হবে তাও লিখে রাখুন। আমরা যখন কাজের মধ্যে ডুবে থাকি তখন অনেক সময় খাওয়ার কথাও ভুলে যাই, ছোট ছোট সব বিষয়গুলো উল্লেখ করেই তালিকা তৈরি করুন। যেমন প্রতিটি জরুরি মিটিং-এর পর ১০ মিনিট রেস্ট।
স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট
কোনো সন্দেহ নেই সকালের নাস্তা দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। কিন্তু দেরি করে ঘুম থেকে ওঠায় আমাদের অনেকেরই সকালে নাস্তা না করে কাজে দৌঁড়াতে হয়। আর কাজের ঝামেলায় অনক দিনই নাস্তা করার সময় হয় না। রাতের পর দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকায় আমাদের শরীরে বিরুপ প্রভাব পড়ে। এজন্যই নিয়মিত সকালে ওঠার অভ্যেস করতে হবে এবং সকাল আটটার মধ্যে স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে কাজের উদ্দেশে বের হতে হবে।
সময় নিয়ে তৈরি
তাড়াহুড়ো করে অফিস বা ক্লাস ধরতে হলে অনেক সময় যেন তেন মতো দৌঁড়ে বেরিয়ে যাই। কিন্তু সকালে একটু আগে উঠতে পারলে প্রয়োজন মতো তৈরি হওয়ার সময় পাওয়া যায়। যেমন অফিসে জরুরি মিটিং-এ বাইরের কোনো অফিসের কর্মকর্তা আসবে। আপনি যেখানে আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করছেন সেখানে সাজ পোশাকটা তো তেমনই হওয়া চাই।
আধা লিটার পানি
এটা আবার এমন কি জরুরি কাজ, তাই ভাবছেন? কিন্তু প্রতিদিন সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে নিয়ম করে অন্তত আধা লিটার পানি পান করুন। কারণ আমাদের ত্বক এবং শরীর সব কিছুর সুস্থতার জন্যই পানি অপরিহার্য।
স্নিগ্ধ একটি সকালের শুরু যদি যার যার ধর্মের প্রর্থনার মাধ্যমে হয় তাহেলে দেখবেন মন অনেক বেশি শান্ত থাকে। সকালটা সুন্দর মতো শুরু করুন। এর প্রভাব দিনের অনেকটা সময় জুড়ে থাকবে।