আজকাল বন্ধুরা বেইরে খেতে বা ঘুরতে যাচ্ছে, নিজেরা গল্প না করে সবাই ব্যস্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
বিকেলে বা সন্ধ্যায় হাঁটতে বেড়িয়েও সঙ্গী সেই প্রিয় মোবাইল ফোন, আর চোখ রাস্তায় না রেখে রযেছে ফোনের স্ক্রিনে।
আমরা কি অনেক বেশি সময় ফেসবুকে নষ্ট করছি, কিছুক্ষণ অনলাইনে না গেলে কেমন অস্থির লাগছে, মনে হচ্ছে কিছু মিস হয়ে যাচ্ছে? রাতে ঘুমের জন্য সময় কমে যাচ্ছে ফেসবুক ব্যবহার করে, পরিবারের সময় থেকেও নিয়ে নিচ্ছে ফেসবুক?
এটা আশক্তির ঝুঁকি তৈরি করছে আমাদের জন্য। পুরো বিশ্বের সঙ্গে অনলাইনে যুক্ত থাকছি, অথচ আমাদের চারপাশে কেউ নেই, আমরা একা হয়ে যাচ্ছি। আমাদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে হতাশা, ভুগছি বিষণ্নতায়।
আরেকটা ভয়াবহ বিষয় আছে, আমরা ফেসবুকে অন্যের জীবন-যাপন দেখে অনেক সময় পরশ্রীকাতর হয়ে যাই, ফলে নিজের জীবন নিয়ে তৈরি হচ্ছে অতৃপ্তি।
সম্প্রতি কম্পিউটার্স ইন হিউম্যান বিহেভিয়র সাময়িকীতে এসংক্রান্ত একটি প্রতিদেন প্রকাশিত হয়েছে।
অস্ট্রিয়ার মনোবিজ্ঞানী ক্রিস্টিনা সাজিয়োগ্লো ও টোবিয়াস গ্রেটামেয়ার ফেসবুক ব্যবহারকারীদের নিয়ে তিন ধাপে একটি জরিপ পরিচালনা করেছেন। তারা দেখেছেন ফেসবুক মানুষকে একা করে দিচ্ছে।
গবেষকরা প্রথমবারে ১২৩ জন ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৬৩ জন ফেসবুক ব্যবহারকারীকে আমাজন মেকানিক্যাল প্রোগ্রামের মাধ্যমে গবেষণায় যুক্ত করেন। এরা প্রায় সবাই ফেসবুক ব্যবহারের পর মন-মেজাজ খারাপ হওয়ার কথাই বলেছেন।
শেষ ধাপে ১০১ জনকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল ফেসবুক ব্যবহারের পর-(সাইন আউট) করলে তাদের অনুভূতি কেমন হয়? উত্তরে তারা একাকিত্বের কথা জানান।
সময় থাকতে আমাদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন, ভাচুর্য়াল সম্পর্কগুলো যেন আমাদের বাস্তব জীবনে প্রভাব না ফেলে। সবার কাছ থেকে নিজেকে আলাদা করে নিয়ে একা একা কখনো ভালো থাকা যায় না।