এরই অংশ হিসেবে একটি সমন্বিত প্রযুক্তি নির্ভর নিরাপদ কৃষিপণ্য উৎপাদন নিশ্চিত করতে ২০১৮ সালে ৪৫ জন সদস্য নিয়ে ‘পিরিজপুর মডেল কৃষক সমবায় সমিতি লি:’ নামে সংগঠন গড়ে তোলা হয়। এমনটাই জানালেন এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা আমিনুল ইসলাম।
ওই এলাকার সবজি চাষি নুর আহমেদসহ অন্যান্য কৃষকরা বাংলানিউজকে জানান, চাল কুমরা, পেঁপে, ভাঙ্গি, লেবু, কাঁচ কলা, কাঁচা আম, বেগুন, ঢেঁড়শ, শসা, বরবটি, করলা, চিচিঙ্গা, সজিনা, কচুর লতি, উচ্ছে, পুঁইশাক, টমেটো, পেঁয়াজ, ডাব, চাম্পা কলা জাতীয় সবজি উৎপাদন করছেন। সেই সঙ্গে জৈব সার উৎপাদন করছেন তারা। এতে করে এসব সবজি উৎপাদনে কৃষকরা স্বাবলম্বী হয়েছেন।
সংগঠনের সভাপতি মো. হুসেনউদ্দিন হিরু বাংলানিউজকে জানান, বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। সেই সঙ্গে এসব সবজির বাজার প্রসারিত হয়েছে। এতে করে এলাকার সুনাম বেড়েছে।
সংশ্লিষ্ট কৃষকরা জানান, রবি, খরিপ-১ ও খরিপ-২ মৌসুমে বছরের প্রায় ২ হাজার ৪শ হেক্টর জমিতে জৈব সার ও কেঁচো সার দিয়ে সবজি জমি চাষ করা হয়। সবজি উৎপাদিত হয় প্রায় ৬০ হাজার মে: টন। এসব সবজির মধ্যে শসা প্রতি কেজি ৭-১০টাকা, প্রতি কেজি করলা ১৫-২০টাকা, মিষ্টি আলু প্রতি কেজি ৫টাকা, গোল আলু প্রতি কেজি ১০-১২টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ১০-১২টাকা বিক্রি করা হয়। প্রতি বছরে প্রায় ১ শত কেটি টাকার কৃষিপণ্যের লেনদেন হয়ে থাকে বলে জানান কৃষকরা।
কোনো রাসায়নিক সার এবং কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই এসব বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে এলাকাটি সবজির মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এর নাম হয়েছে ‘পিরিজপুর মডেল’।
কিশোরগেঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, কোনো রাসায়ানিক সার, কীটনাশক, ছত্রাকনাশক, গ্রোথ হরমোন, অ্যান্টিবায়টিক এমনকি অন্য যেকোনো কৃত্রিম উপকরণ ব্যবহার না করে প্রকৃতি প্রদত্ত উপকরণ ব্যবহারের মাধ্যমে সবজি উৎপাদনে কাজ করছে ‘পিরিজপুর মডেল’।
একটি সমন্বিত প্রযুক্তি নির্ভর নিরাপদ কৃষিপণ্য উৎপাদন, বিপণন, পরিবেশ সুরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও জানান ডিসি মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী।
যে কেউ ঘরে বসে অর্ডার করতে পারবেন পছন্দের সবজি http://greenbangla.com.bd এই ওয়েব সাইটে গিয়ে অথবা গুগোল প্লে স্টোরে Green Bangladesh অ্যাপস ব্যবহার করে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০৮ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৯
এসআইএস