ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

ব্যক্তি ও কর্মজীবনে ব্যস্ততার ভারসাম্য

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
ব্যক্তি ও কর্মজীবনে ব্যস্ততার ভারসাম্য ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স

মানুষের জীবনেও কর্মজীবন আগে না ব্যক্তিগত জীবন আগে এ নিয়ে রয়েছে সংশয়। আবার অনেকেই সারাজীবন কেবল চিন্তাই করেন, কীভাবে তিনি ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স করে জীবনটাকে উপভোগ করবেন। 

যখন কাজে ব্যস্ত হয়ে যান তখন নিজেকে আর সময় দেওয়া হয় না, আবার সময় অপচয় করার মতো সময়ও কিš‘ কম নেই। এই ভাবে চলছে মানুষের জীবন।

কিš‘ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যস্ততার সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনে ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্সটা রক্ষা করা খুবই জরুরি।

ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স রক্ষা করার অর্থ হচ্ছে সারাদিনের কতটুকু সময় কাজ, আর কতটুকু ব্যক্তিগত জীবনে ব্যয় করা উচিত তার একটি হিসাব। একজন ব্যক্তি যাতে নিজেকে যথেষ্ট সময় দিতে পারে আবার ঠিক তার পাশাপাশি কর্মজীবনও যেন তাৎপর্যপূর্ণ হয়। এই পুরো সময়জুড়ে হীনমন্যতা, চাপ ও প্রতিকূল পরিবেশকে মোকাবিলা করে এগিয়ে যাওয়ার নামই হচ্ছে ভারসাম্য।  
নিজের ওপর অবিচল বিশ্বাস নিয়ে সামনের দিকে পথ চলতে পারলেই সফলতার দেখা পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে সাফল্য ধরে রেখে সুন্দর একটি জীবনযাপন করা সম্ভব হয়।

প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সবার দৃষ্টি এখন উন্নয়নের দিকে। তবে এই উন্নয়নের পেছনে যারা কাজ করছে তাদের মানসিক উন্নয়নের দিকে নজর নেই খুব একটা। যার ফলে তারা অনেক সময় হয়ে পড়ছে হতাশাগ্রস্ত। গুটিয়ে নিচ্ছে তার জীবনটাকে। একা হয়ে পড়ছে প্রতিটি ক্ষেত্রে। প্রতিযোগিতার এই যুগে নিজেকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে দায়িত্বের চেয়ে বেশি কাজ করতে হয়।  

যার ফলে প্রতিটি ক্ষেত্রে ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়ে উঠে না। দায়িত্বের চেয়ে অতিরিক্ত পরিশ্রম, দীর্ঘ কর্মঘণ্টা এবং একটি কাজের নেতিবাচক পরিবেশ কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।  

অন্যদিকে, কর্মীদের ভারসাম্য বজায় এবং জীবনের দায়বদ্ধতা অব্যাহত রাখার ফলে কাজে অনুপস্থিতি, টার্নওভারের উ”চ হার, উৎপাদনশীলতা হ্রাস, কাজের ক্ষেত্রে সš‘ষ্টি হ্রাস পাচ্ছে। এজন্য শুধুমাত্র নিজেকে নিয়ে কিংবা কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লে ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স তৈরির ক্ষেত্রে বড় ধরনের বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে।  

ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স রক্ষার সমাধান হিসেবে অনেকেই কাজ থেকে ফিরে এসে, কাজের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রাখেন। এই চিন্তা করে যে, এখন আমি শুধু নিজেকেই সময় দেব। কিš‘ কিছু দায়িত্ব থাকে যেগুলোর ব্যাপারে সবসময় সজাগ ও সম্পৃক্ত থাকতে হয়। তাই সবচেয়ে ভালো উপায় হতে পারে, যদি কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের ব্যাপারগুলো একীভূত করে নেওয়া যায়।  
সুখীভাবে বেঁচে থাকতে হলে জীবনে ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স ধরে রাখতে হবে। কাজকে ব্যক্তিগত জীবন থেকে আলাদা করে কখনোই সুখী হওয়া যায় না। সেজন্য জনসাধারণের মধ্যে ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্সের ধারণাকে উৎসাহিত ও উন্নীত করার জন্য বাংলাদেশের একমাত্র ব্যালেন্সড ড্রিংকিং ওয়াটার ব্র্যান্ড স্পা একটি গল্প প্রতিযোগিতা শুরু করেছে।  

প্রতিযোগীদের গল্পগুলো তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করতে হবে অথবা গল্প লিখে ইমেইলও করতে পারবে spabalancedlife@gmail.com এই ঠিকানায়। গল্পটি ফেইসবুক এ পোস্ট করার সময় #Spa এবং #BalancedLife এই দুইটি হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে হবে। প্রতিযোগীর ফেইসবুক পোস্ট টি PUBLIC করতে হবে এবং SPA ফেইসবুক পেইজ ট্যাগ করতে হবে। গল্প পাঠানোর শেষ তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত। সংগৃহীত গল্পগুলো থেকে সেরা ১৫ জনকে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করা হবে।  
বিজয়ীরা পুরস্কার হিসেবে পাবেন মীরসরাই-এ মহামায়া লেক থেকে ঘুরে আসার সুযোগ। এছাড়াও ভ্রমণ কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে খৈয়াছড়া ঝর্ণা দেখা, মহামায়া হ্রদে কায়াকিং, ক্যাম্প ফায়ার, তাঁবুতে রাত্রিযাপন ও মজার গেমসসহ নানান কার্যক্রম।

লেখা: মোস্তফা রনি

বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।