বিয়েবাড়িতে প্রিয়জনকে ভালোবাসা জানাতে আত্মীয় বন্ধু সবাই আসেন। কেমন হয়, যদি সবাই বিয়ের কনের ডিজাইন করা পোশাক পরেন?
সুন্দর এই ভাবনাটা সত্যি করেছেন সিরাজুম মুনিরা।
আর নিজের চেষ্টা ও সবার সহযোগিতায় আমার সেই ছোট্ট সুন্দর স্বপ্নটা সত্যি হলো। মুনিরা বলেন, আমার কাছে তো এখনো ছবিগুলো দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। চলুন জেনে আসা যাক সেদিনের গল্প!
ছোট বেলায় আমাদের তিন বোনের প্রতি ঈদের ড্রেসই হতো নিজেদের হাতের কাজে বানানো। রাত জেগে হয়তো ব্লক, হ্যান্ড পেইন্ট, নাহলে হাতের কাজ করে ঈদের পোশাকটিকে সবার চেয়ে সুন্দর ও আলাদা করতে চেষ্টা করতাম আমরা।
বড় হয়ে যখন সালেহ আহমেদের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হলো, দুই ফ্যামিলি মিলে ফাইনাল করল মাত্র এক মাস পরেই অনুষ্ঠান। কিন্তু বিয়ের পোশাক কেমন হবে, কোথায় পাওয়া যাবে সাধ্যের মধ্যে আমার স্বপ্নের রানি হওয়ার মতো পোশাক। জীবনের সবচেয়ে সুন্দর দিনটিকে ছবির ফ্রেমের সঙ্গে মনেও ধরে রাখতে চাই পুরো জীবন। এজন্য অনে্যর ওপর নির্ভর না করে, নিজেই লেগে যাই কাজে।
তাই রেডিমেড কিছুর চিন্তা বাদ দিয়ে বেরিয়ে গেলাম কাপড় খুঁজতে। আমার নিজের বিয়ের শাড়ি বলে কথা! চেয়েছি সিম্পল বাট গর্জিয়াস থাকে এমন একটা পোশাক। নিজের শাড়ি-ওড়না-গয়না সব কিছু পছন্দমতো মেলানোর পর অন্যদের জন্য চেষ্টা করলাম নিজের পছন্দের বেস্ট পোশাক তৈরি করে দিতে।
আর এজন্য আমি বেছে নিয়েছি সিল্ক, মসলিন ও কাতান কাপড়। রেড ও গোল্ডেন কম্বিনেশন ছিল বেশিরভাগ পোশাকে।
পোশাক দেখে সবার যে আনন্দ দেখেছি, তাতে আমার প্রায় ১০ দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের কথা ভুলে গেছি।
সবার ভালোবাসা ও স্নেহে নতুন জীবন শুরু করেন মুনিরা-সালেহ। আর সবার এতো উৎসাহ পেয়ে তিনি এখন একজন সফল উদ্যোক্তাও। মুনিরার পেজের নাম আবায়া স্টোরি।
বিয়েতে একটু সময় নিয়ে মুনিরার মতো আপনিও একটু চেষ্টা করলেই কিন্তু নিজেই হয়ে যেতে পারেন বেস্ট ডিজাইনার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০
এসআইএস