বৃদ্ধ হয়ে যাওয়া, হার্ট অ্যাটাক, ব্রেন স্ট্রোক, ডায়াবেটিস ও কিডনির সমস্যাসহ নানা অসুখের কারণে আমাদের অনেকের বাড়িতেই বয়ষ্ক রোগী থাকেন। যাদের মধ্যে প্যারালাইসিস হয়েছে এমন রোগীও আছেন।
সুস্থ মানুষের মতো জীবন-যাপন করতে পারেন না তারা। কিন্তু আমরা যখন ছোট ছিলাম পরম মমতা ও আশ্রয়ে আমাদের বড় করে তুলেছেন এই বাবা-মায়েরাই।
যারা একেবারেই চলাফেরা করতে পারেন না, তাদের নিয়ে পরিবারের সদস্যরা থাকেন বেশ চিন্তায়। আজকাল কিছু চেয়ার পাওয়া যায়, যেগুলোতে করে একাই ঘরে ঘুরতে পারবেন অসুস্থ প্রিয়জন। তেমন একটি হুইল চেয়ার কিনে দিতে পারলে তার অবস জীবনেও খানিকটা গতি আসবে।
অনেকেই স্বাভাবিক খাবারও খেতে পারেন না। তাদের একই ধরনের খাবার প্রতিদিন না দিয়ে স্বাদ বদল হয় এমন খাবারের একটা রুটিন করে নিলে সুবিধা হবে।
রোগীদের খাবার নির্বাচন করার সময় অবশ্যই পুস্টিগুণ ও সহজে হজম হয় এমন খাবার রাখতে হবে। নিয়মিত ফল-দুধ ও ডিম খাওয়াতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো।
শুয়ে থাকতে থাকতে শরীরের অনেক স্থানে ছত্রাক হতে পারে। এমন হলে শরীর ভেজানোর পর ভালো করে তোয়ালে বা গামছা দিয়ে চেপে পানি শুকিয়ে নিন। নখ দিয়ে চুলকানো যাবে না। এতে হাতও সংক্রমিত হবে। নিয়মিত তাদের পোশাক ও বিছানার চাদর পাল্টে দিতে হবে। ঘরে পর্যাপ্ত আলো বাতাস চলাচলের সুযোগ রাখতে হবে।
যারা বিছানা থেকে উঠে ওয়াশরুমে যেতে পারেন না, প্রস্রাব পায়খানার জন্য, তাদের এই অবস্থায় নিয়মিত পরিষ্কার করা সত্যি কঠিন হয়ে যায় পরিবারের সদস্যদের। এমন হলে অ্যাডাল্ট ডায়াপার ব্যবহার করতে পারেন।
ওনাদের হাতের কাছে একটি কলিং বেল দিয়ে রাখুন। প্রয়োজনে বেল দিলে দ্রুত কাছে যান। একটি কাগজে বড় বড় করে প্রয়োজনীয় কিছু নাম্বার লিখে ওনাদের ঘরের দেয়ালে রেখে দিন। যেন বিশেষ প্রয়োজনে জানাতে পারেন।
তাদের সময় কাটানোর জন্য রুমে ইন্টারনেট লাইন দিয়ে টিভি রাখতে পারেন। মোবাইলে বা ট্যাবে কিছু গেমস দেওয়া যায়। আর সবচেয়ে বড় কথা তাদের সঙ্গে নিজেরা সময় কাটান। ওনারা যেন বুঝতে পারেন আপনার কাছে তিনি কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
তারা অসুস্থ বলে অবহেলা করা যাবে না। কখন কার জীবনে এমন অবস্থা হতে পারে এটা আমরা কেউই জানি না। ওনারা কোনো ধরনের সমস্যার কথা জানালে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০২০
এসআইএস