শরতের শিউলি ঝরা সকাল,হিমেল হাওয়ার ঢেউ খেলানো কাশফুল, আধো মেঘ আধো সূর্যের লুকোচুরিতে খেলায় মেতেই প্রতিটি বছর দেবী দূর্গার আগমনী সুর বেজে ওঠে প্রকৃতিতে। আকাশ বাতাস পুঁজো পুঁজো গন্ধে সেজে মুগ্ধতায় ভরে ওঠে।
পুঁজা মানেই নতুন শাড়ি, নতুন সাজ, নতুন গহনার সঙ্গে বিশাল আয়োজনে খাওয়া দাওয়ার ধুম। বাঙালি পরিবারের পূজার সুস্বাদু খাবার আইটেম হিসেবে ঐতিহ্যবাহী ক্ষীরের সন্দেশ সব সময়ই সমাদৃত হয়ে এসেছে। সন্দেশ ছাড়া বাঙালি পরিবারের ভোজনরসিকের খাবারের থালাই যেন পূর্ণতা পায় না।
এই ব্যস্ত নগর জীবনে সেই পুরোনো ঐতিহ্যের স্বাদ এখনও পেতে চায় মানুষ, কিন্তু সঠিক রেসিপি না জানার কারণে ইচ্ছে থাকার পরও বানাতে পারেন না যারা প্রিয় খাবারটি। তাদের জন্য মৌসুমী সাহা দিয়েছেন এই ক্ষীরের সন্দেশের রেসিপি। যেভাবে তৈরি করবেন জেনে নিন:
উপকরণ
১. খাঁটি গরুর দুধ এক কেজি
২. চিনি ১২৫ গ্রাম
৩. ঘি ২৫ গ্রাম
৪. এলাচ গুঁড়ো
যেভাবে করবেন
প্রথমেই একটি ফ্রাইপ্যানে খাঁটি গরুর দুধ জ্বাল করে ঘন করে সুজির হালুয়ার মতো ঘন করে ক্ষীর তৈরি করে নিতে হবে। এই পর্যায়ে আনতে এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় লাগবে, চুলার তাপ থাকবে হাই থেকে মিডিয়াম।
এবার এই ক্ষীরের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে ফ্রাইপ্যানে নাড়তে হবে, ১০-১৫ মিনিট নাড়ার পর এ পর্যায়ে চিনি গলে এলে চুলা থেকে নামিয়ে আরও ১০-১৫ মিনিট নেড়ে শক্ত করতে হবে। চিনি গলেছে মনে হলেও এই পর্যায়ে চিনি পুরোপুরি গলে না, তাই চিনি গলানোর জন্য আবার চুলায় বসিয়ে হালুয়া মতো ক্ষীরের আর চিনির মিশ্রণটি আবার গলাতে হবে।
এভাবে চিনি পুরোপুরিভাবে গলে মিশে যাওয়া পর্যন্ত চুলায় বসিয়ে গরম করে আবার ঠান্ডা করতে হবে, পুরো প্রক্রিয়াতে তিন থেকে চার বার বসালেই রুটির খামির মতো দলা পাকিয়ে ফ্রাইপ্যানের গা ছেড়ে ছেড়ে আসবে।
এবার সন্দেশ বানানোর খামিরের সঙ্গে সুগন্ধের জন্যে এলাচের গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে হবে। চুলার তাপ একদম কমিয়ে রাখতে হবে পুরো সময়ে। হাতে সামান্য ঘি মেখে পছন্দের আকারে সন্দেশের গড়ে নিন।
এভাবেই তৈরি হয়ে গেল দারুণ সুস্বাদু ক্ষীরের সন্দেশ। এই সন্দেশ খোলা অবস্থায় ৭-৮ দিন ভালো থাকে, ফ্রিজে কয়েক মাস সংরক্ষণ করে রাখা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২০
এসআইএস