মহামারি করোনাকালে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের কাছে গ্রিন টি-র জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়ে চলেছে। এই চায়ের প্রতি নতুন প্রজন্মেরও বেশ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।
গ্রিন টি প্রথমে ছিল ওষুধ, তারপর পানীয়তে পরিণত হয়েছে। গ্রিন টির রয়েছে শত গুণ। নিয়মিত এই চা পানে শরীরে ভালোভাবে রক্ত চলাচল করে, পেট পরিষ্কার থাকে আর মস্তিষ্ককে রাখে সচল। এই তথ্যগুলো বিভিন্ন গবেষণার মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে এসেছে। সবুজ চা শীতকালীন ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা রোধেও সাহায্য করে।
ভালো ডেটক্স ডায়েট মানেই গ্রিন টি। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ গ্রিন টি দেহে জমা টক্সিনের সঙ্গে লড়াই করে ও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে। এছাড়াও গ্রিন টি হৃদরোগ, আলজেইমার্স ও পারকিনসন্স ডিজিজেস হওয়ার ঝুঁকি কমায়। গ্রিন টি কিংবা সবুজ চা মেটাবলিজম বাড়িয়ে শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ চায়ে উপস্থিত পলিফেনল শরীরের মেদগুলোকে উপকারী ক্যালরিতে পরিণত করে।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সবুজ চা অনবদ্য ভূমিকা পালন করে। খাবার পর রক্তে চিনির পরিমাণ কমিয়ে শরীরকে ঝরঝরে রাখে এই চা। থিয়ানিন এক ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড যা প্রাকৃতিক ভাবেই চায়ের পাতায় পাওয়া যায়। ডিপ্রেশনের রোগীদের সবুজ চা পানে অনেকাংশে আরাম ও স্বস্তিবোধ হয়। সবুজ চায়ে উপস্থিত কেমিক্যাল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ‘ক্যাটেচিন’ দাঁতের ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস দূর করে দাঁতকে সুস্থ রাখে।
পোকামাকড় কামড়ালে যদি ওই স্থান চুলকায় ও ফুলে যায় তাহলে সবুজ চায়ের পাতা দিয়ে ঢেকে দিলে আরাম বোধ হয়। কোথাও ইনফেকশন হলে তা দ্রুত সেরে যায়। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ কাপ গ্রিন টি পান করতে পারি। প্রতি কাপে ২৫ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন সরবরাহ করে এই চা। গ্রিন টি তৈরির জন্য চায়ের পাতা বা টি ব্যাগ কাপে রাখুন ওপর থেকে গরম পানি ঢালুন। কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন, মিষ্টি করে খেতে চাইলে চিনির পরিবর্তে মধু মেশান । ফ্লেবারের জন্য লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২১
এসআইএস