রোদে বের হলে আমাদের চোখ জ্বলে এবং লাল হয়ে যায়। আবার ধুলোবালি ও খোলা বাতাসে অনেক সময় মহামারি করোনাসহ বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া আক্রমণের শিকার হয় চোখ দু’টি।
আমাদের জীবন-যাপনে চোখের গুরুত্ব বলে শেষ করা যাবে না। শরীরের এই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অংশটির যত্ন এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাইরে বের হওয়ার সময় সানগ্লাস ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি।
সানগ্লাস বাছাই করার সময়ও বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে, যেন পছন্দ ও প্রয়োজনের সানগ্লাসটি ঠিকঠাক মানিয়ে যায় চেহারায়। এজন্য শুধুমাত্র ব্র্যান্ডেড সানগ্লাসই না- ব্যক্তিত্ব, চুলের রং ও মুখের আদলের সঙ্গে মিলিয়ে সানগ্লাস কেনা উচিত।
নিজের মুখের আদল বুঝে সানগ্লাস বাছাই করুন। মুখের আদল বিভিন্ন রকম হতে পারে। যেমন- গোলাকার, পানপাতা, চারকোনা বা ডায়ামন্ড শেপ।
সানগ্লাসের শেপ সাধারণত মুখের আদলের বিপরীত শেপের কেনা উচিত। যেমন মুখের আদল যদি গোলাকার হয় তাহলে একটু কোনাচে ধাঁচের সানগ্লাস বাছাই করুন।
চারকোনা শেপের মুখের জন্য গোলাকার সানগ্লাস ভালো মানায়। এক্ষেত্রে গোল ফ্রেম মুখের আদলকে তুলনামূলক কোমল দেখাতে সাহায্য করবে। এই শেপের বড় বা ছোট যেকোনো আকৃতিই মানানসই।
পানপাতার মতো মুখের ক্ষেত্রে চোয়ালের অংশ ও কপালের অংশের সামঞ্জস্য রাখতে মোটা ফ্রেমের সানগ্লাস বাছাই করুন। এক্ষেত্রে সানগ্লাসের নিচের অংশ ওপরের অংশের তুলনায় ভারি দেখে কিনুন। এতে মুখের নিচের অংশ চওড়া দেখাবে।
ডিম্বাকৃতির মুখের জন্য সব ধরনের ফ্রেমই মানানসই। তবে বেশি ছোট ফ্রেম বাছাই না করাই ভালো।
ডায়ামন্ড শেপ মুখেও সব ধরনের সানগ্লাসই ভালো লাগে। তবে ফ্রেমসহ সানগ্লাস বেশি মানায়। খেয়াল রাখতে হবে সানগ্লাসের ফ্রেম যেন গালের হাড় বরাবর হয়।
চোখের কর্নিয়া ও রেটিনাকে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সানগ্লাসের ভূমিকা অপরিসীম। আর তাই সানগ্লাস হতে হবে ভালোমানের গ্লাসের তৈরি। নয়তো সস্তা নিম্নমানের সানগ্লাস ব্যবহার করে চোখের বড় ধরনের ক্ষতিও হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২১
এসআইএস