ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

কিছুতেই কমছে না, মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫১ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২১
কিছুতেই কমছে না, মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ

মশা তাড়াতে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে শহরজুড়ে। কিন্তু মশা কমার কোনো লক্ষণ নেই।

রাত-দিনের পুরো সময়টাই মশার যন্ত্রণায় মানুষ অতিষ্ঠ।

নিজেরাই চেষ্টা করুন মশা নিয়ন্ত্রণের আর এজন্য যা করতে পারেন:

নিম পাতা/তেলনিম পাতা

নিমের তেল পোকামাকড় দূর করে। একইভাবে মশা তাড়াতেও এটি কার্যকর। এটি কর্পূরের সঙ্গে মিশিয়ে ঘরের এক কোনায় রেখে দেওয়া যেতে পারে। এর গন্ধেই মশা পালাবে। শুধু নিমপাতাও ঘরে রেখে দিতে পারেন, মশার উপদ্রব কমবে।  

কর্পূর

মশা কর্পূরের গন্ধ একেবারেই সহ্য করতে পারে না। আপনি যেকোনো ফার্মেসীতে গিয়ে কর্পূরের ট্যাবলেট কিনে নিতে পারেন। একটি ৫০ গ্রামের কর্পূরের ট্যাবলেট একটি ছোট বাটিতে রেখে বাটিটি পানি দিয়ে পূর্ণ করুন। এরপর এটি ঘরের কোণে রেখে দিন। দুদিন পর পানি পরিবর্তন করুন। আগের পানিটুকু ফেলে দেবেন না। এই পানি ঘর মোছার কাজে ব্যবহার করলে ঘরে পিঁপড়ার যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি পাবেন।

 

লেবু লবঙ্গ

লেবু লবঙ্গএকটি লেবু মাঝ থেকে কেটে নিন। এরপর কাটা লেবুর ভেতরের অংশে অনেকগুলো লবঙ্গ গেঁথে দিন। লেবুর টুকরোগুলো একটি প্লেটে রেখে ঘরের কোণায় রেখে দিন। চাইলে লেবুতে লবঙ্গ গেঁথে জানালার গ্রিলেও রাখতে পারেন। এতে করে মশা ঘরেই ঢুকবে না।  

 

রসুন

রসুনের তীব্র গন্ধ মশা তাড়াতে সাহায্য করে। এজন্য কয়েকটি রসুনের কোয়া থেতলে পানিতে সিদ্ধ করতে হবে। ওই পানি সারা ঘরে স্প্রে করে দিলেই মশার যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।

 

এছাড়াও রসুন, কাঁচা মরিচ, জিরা, নিমপাতা, কাঁচা হলুদ ভালো করে বেটে মিশিয়ে দিন। এবার তা সাদা সুতির কাপড়ে বেঁধে রেখে দিন বসার, শোবার ঘরে। এতে শুধু মশা নয়, থাকবে না কোনো পোকামাকড়ই।

 

পরিচ্ছন্নতা

 

বাড়ির আশপাশে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ নর্দমা থাকলে মশা বেশি হবে। বাড়ির ভেতর বাইরে পরিষ্কার রাখুন। কোথাও পানি জমে থাকলে পরিষ্কার করুন।  

ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করুন।

শরীরের ক্ষতি না করে নামমাত্র খরচে মশা তাড়িয়ে, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে নিরাপদে থাকুন। বাড়ির কারো জ্বর হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

 

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২১

এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।