জার্মানরা তাদের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রায় দুই দশক ধরে আঙ্গেলা মের্কেলকে নির্বাচিত করে আসছে। তিনি দক্ষতা এবং আন্তরিকতার সঙ্গে এই দীর্ঘ সময় জার্মানদের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।
তার নেতৃত্বে দেশ এতোটাই এগিয়েছে যে, বিশ্বখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিনে বিশ্বের সবেচেয়ে ক্ষমতাধর ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় বারবারই সবার ওপরে উঠে এসেছেন জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল।
লম্বা সময় দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কিন্তু তার বিরুদ্ধে কখনো কোনো নিয়ম লঙ্ঘনের রেকর্ড নেই। তার কাছে কোনো বাড়তি সুবিধা পায়নি আত্মীয় বা আপনজন।
নেতৃত্বের জায়গায় আঙ্গেলা মের্কেল সেই নারী যাকে‘দ্য লেডি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড’ হিসেবে অভিহিত করা হয়।
বিশ্বে তিনিই প্রথম ও একমাত্র নারী, যার দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন অব জার্মানি (সিডিইউ) জার্মান জনগণের আস্থা অর্জন করে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে পরপর চার বার ক্ষমতায় এসেছে। আর তিনি সরকার প্রধান হয়ে দলীয় প্রধানের পদটি ছেড়ে দিয়েছেন।
বিশ্বের শীর্ষ উন্নত দেশ জার্মানি, কিন্তু সেদেশের সরকার প্রধান হয়েও আঙ্গেলা মের্কেলের জীবনযাপন খুব সাধারণ। তিনি একই ধরনের পোশাক পরেন সব সময়। এটা নিয়ে একবার এক সংবাদ সম্মেলনে একজন নারী সাংবাদিক মের্কেলকে জিজ্ঞাসা করলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি যে আপনি প্রায়ই একই পোশাক পরেন। মের্কেল জবাব দিলেন, আমি একজন সরকারি কর্মচারী, মডেল নই।
মের্কেল দেশের অন্য নাগরিকের মতোই একটি সাধারণ অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করেন। তিনি জার্মানির চ্যান্সেলর নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই এখানে বাস করেন।
নিজের দেশ ও দেশের মানুষের জন্য উন্নত ও নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন জার্মানির চ্যান্সেলর মার্কেল। তিনি একজন নারী, এবারের নারী দিবসে আমাদের অনুকরণীয় হোক বিশ্বনেতা ৬৭ বছরের আঙ্গেলা মের্কেল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২১
এসআইএস