পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশে প্রায় দুই কোটি মানুষ কোন না কোনভাবে কিডনি রোগে ভুগছে। আর আক্রান্তদের মধ্যে ৪০ হাজারের কিডনি পুরোপুরি অকেজো হচ্ছে প্রতিবছর।
নারীদের যেসব সতর্কতা প্রয়োজন:
গর্ভাবস্থা কিডনির ওপর একটি চাপ সৃষ্টি করে। অনেক সময় অল্প ও অধিক বয়সী নারীরা গর্ভাবস্থায় কিডনি রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। যাদের গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত বমি হয় অথবা গর্ভকালীন অবস্থায় ডায়বেটিস ও প্রেসারে আক্রান্ত থাকবেন তারা কিডনি রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এক্ষেত্রে গর্ভধারণের আগে সতর্কতা ও গর্ভকালীন নিয়মিত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে চললে কিডনির রোগের ঝুঁকি রোধ করা যায়।
এছাড়া অবৈজ্ঞানিক উপায়ে / গ্রাম্য চিকিৎসা করা গর্ভরোধ ও গর্ভকালীন রক্তপাত কিডনি ফেইলরের পাশাপাশি রোগীর জীবনের জন্যও মারাত্মক হুমকির কারণ হতে পারে। অনেক সময় গর্ভকালীন অবস্থায় রোগীরা প্রস্রাবের ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়ে থাকেন এক্ষেত্রে সঠিক সময়ে সংক্রমণের পর দ্রুত সঠিক চিকিৎসা না নিলে নারীর গর্ভকালীন স্বাস্থ্য ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
সাধারণভাবে নারীদের মধ্যে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওজন বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যায়। যা পক্ষান্তরে কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এক্ষেত্রে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে ডায়বেটিস, প্রেসার, থাইরয়েডসহ কিডনি রোগের ঝুঁকিও কমানো সম্ভব।
অনেক নারীর মধ্যে প্রস্রাব চেপে রাখার ও কম পানি পানের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়, যা পরবর্তীতে কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
এছাড়াও নারীদের মধ্যে অনেকের অপরিকল্পিত স্লিমিং / অবৈজ্ঞানিক উপায়ে ওষুধ খেয়ে কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
লেখক: ডা. তানিয়া মাহবুব
কনসাল্টেন্ট, নেফ্রোলজি ডিপার্টমেন্ট
ইউনাইটেড হসপিটাল, ঢাকা
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২১
এসআইএস