দেশে ৭ এপ্রিল ই-কমার্স দিবস পালন করছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)।
ইন্টারনেট ব্যবহার করে কোনো কিছু বিক্রয় করাকেই আমরা ই–কমার্স বলতে পারি।
যারা নতুন করে এই ই-কমার্সে যুক্ত হতে চান, তাদের জন্য ই–কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি রাজীব আহমেদের পরামর্শ:
রাজীব আহমেদ বলেন, দেশি পণ্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিকে বড় হতে হবে সবার স্বার্থে। করোনা ভাইরাসের কারণে আমাদের রপ্তানি আয় অনেক কমে যাবে আবার এখন টাকা থাকলেও বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি সহজ হবে না কারণ বিভিন্ন দেশে উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে আর চীনের মতো দেশগুলো থেকে শিপমেন্ট আসাও কঠিন হচ্ছে।
অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা আর এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ের মানুষের তৈরি অনেক পণ্যের আমরা নামই জানি না। দেশি পণ্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি এদিকে অনেক বড় ভূমিকা পালন করবে।
উইতে অনেক না হলেও কিছু শিক্ষিত মধ্যবিত্ত পরিবারের এই করোনার মধ্যেও কিছু না কিছু বিক্রি করে সংসার টুকটাক চলছে। এমনকি কেউ ঘরে তৈরি রুটি বিক্রি করে যা আয় করছে তা দিয়ে প্রতিদিনের বাজারের খরচ উঠে আসছে।
গত ৬ বছর ধরেই আমি বলেছি যে ই-কমার্স শিক্ষিত লোকের ইন্ডাস্ট্রি। অনেকেই এ নিয়ে উপহাস করেছে। তাতে কি আসে যায়? আমরা সৎ ভাবে আমাদের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে টাকা আয় করার চেষ্টা করি। দুই নম্বর লোকের হাসাহাসিতে কি আসে যায়?
দেশি পণ্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি যেহেতু প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে তাই এতে যারা কাজ করছে তাদের সন্মান সুনাম সবই ধীরে ধীরে আসবেই।
একের পর এক প্রতিষ্ঠান যেখানে অপরিচিত লাখ লাখ মানুষ এক হয়ে যাচ্ছে, শুধু কথায় তারা চেষ্টা করছেন নিজেকে সফল উদ্যোক্তা হওয়ার, এর কারণ হিসেবে রাজীব আহমেদ বলেন, কোনো কাজে সফলতার সবচেয়ে অব্যর্থ সুত্র হচ্ছে, লক্ষ্য স্থির করুন এবং ধাপে ধাপে প্রতিদিন সেদিকে এগিয়ে যান। যতদিন পর্যন্ত না লক্ষ্য অর্জন হবে ততদিন হাসি মুখে লেগে থাকুন। যত বাঁধা আসুক, কষ্ট আসুক, ব্যর্থতা আসুক শুধু নিজেকে প্রতিদিন মনে করিয়ে দেবেন এটিও সাফল্যের একটি অংশ- সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ অংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২১
এসআইএস