আজ ২৩ এপ্রিল বই বা গ্রন্থ দিবস। ১৯৯৫ সালে ইউনেস্কো প্রথমবারের মতো এই দিনে বিশ্ব বই দিবস উপযাপন করে।
বই পড়া, বই ছাপানো, বইয়ের কপিরাইট সংরক্ষণ করা ইত্যাদি বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতেই দিবসটি পালন করা হয়।
বই কেন পড়া দরকার? শব্দভাণ্ডার বা জ্ঞান বাড়াতে বই পড়ার বিকল্প নেই। যে যত পড়বে, সে ততোই শিখতে ও জানতে পারবে। এটা তো সবাই জানি। আমাদের ভাবনার আকাশকে অবারিত হয় বই পড়ার মাধ্যমেই।
চিন্তার উৎকর্ষতা ও বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা অথবা দক্ষতা বাড়ে। একটি ভালো বই আমাদের জীবনের অনেক কিছুতেই ইতিবাচক প্রভাব এনে দিতে পারে। বই আমাদের একাকীত্বের সঙ্গীও, সঙ্গে যদি একটা বই থাকে তাহলে আর কখনোই একাকীত্ব ছুঁতে পারে না আমাদের।
প্রিয় লেখকের প্রিয় বইগুলো আমাদের অনেকেরই সংগ্রহে রয়েছে। এই বই দিবসে জেনে নিন কীভাবে সংরক্ষণ করবেন পছন্দের বই:
- বই সাজানো ও তার যত্নের ওপর ঘরের সৌন্দর্য নির্ভর করে৷ এবার শুরু করা যাক বই সাজানো দিয়ে৷ বুক শেলফে এমনভাবে বই সাজাবেন যাতে যে কোনো বই খুব সহজেই আপনি খুঁজে পেতে পারেন
- যেসব বই আপনার নির্ধারিত তাকে রাখতে চান সেগুলোর তালিকা করুন
- বইয়ের লেখক, বিষয়বস্তু, অক্ষরভিত্তিক এমনকি প্রকাশের বছরভিত্তিক ভিন্নতাকে পর্যায়ক্রম করে ক্যাটগরিতে বিভক্ত করতে পারেন
- এছাড়া আপনি কথাসাহিত্য এবং কাব্য সাহিত্য বিষয়কে সামনে রেখে বিভক্ত করতে পারেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে যে, গল্পের অবস্থান এবং জনপ্রিয়তা অনুসারে ভালোমানের বইকে একদম ওপরে অথবা নিচের দিকে রাখতে হবে
- এখন আপনি যেসব বই ক্যাটগরি অনুসারে বিভক্ত করেছেন যে সব বুকসেলফে সাজানো শুরু করুন। বইগুলোকে সোজা করে সাজাতে পারেন- যদি এর উচ্চতা খুব বেশি না হয়। সবসময় বাঁধাই করা পাশ বাইরে দিকে রাখুন যাতে বইয়ের নাম, শিরোনাম এবং লেখকের নাম দেখা যায়
- এর বাইরেও এমন অনেক বই আছে যেগুলো আপনার প্রয়োজন নেই৷ সেগুলো আলাদা করে কাউকে দিয়ে দিতে পারেন৷
- বইয়ের ও তাকের ওপর পড়ে থাকা ধুলো-ময়লা ছোট ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
এভাবে বইয়ের তাক গুছিয়ে রাখলে বাড়িতে আসা অতিথি আপনার রুচির প্রশংসা করবে। আর অন্যরাও আগ্রহী হবে ছোট আকারে বইয়ের সংগ্রহ গড়ে তুলতে। প্রিয় বইগুলো যত্নে থাক, তবে বই কিন্তু শুধু সাজিয়ে রাখার জন্যই নয়, এগুলো পড়ার জন্যই লেখা হয়-সংগ্রহ করা হয়। নিজে পড়ুন ও প্রিয়জনকে বই উপহার দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২১
এসআইএস