প্রতিটি সম্পর্ক সুন্দর ও স্থায়ী করতে প্রয়োজন হয় যত্ন। আর সম্পর্কের যত্নের প্রথম হচ্ছে গুরুত্ব দেওয়া।
সম্পর্কে ভালো রাখতে আমরা সবাই চাই। কিন্তু সম্পর্ক ভালো রাখার জন্য দু’জনকেই উদ্যোগি হতে হয়। ভালো থাকতে হলে দম্পত্য জীবনে সব কিছুতেই একইভাবে প্রতিক্রিয়া দেখানো থেকে বিরত থাকতে হবে। সহযোগিতা, পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ আর ভালোবাসার সঙ্গে সম্পর্কে ভারসাম্য রক্ষা করাও জরুরি।
যেমন সঙ্গীর সঙ্গে পরিবারের ভারসাম্য, নিজের আয়ের সঙ্গে সঙ্গীর চাহিদা পূরণের ভারসাম্য, বন্ধুদের সঙ্গে সময় দেওয়ায় ভারসাম্য, অফিসের কাজ-বাইরের ব্যস্ততার পরও দু’জনের জন্য একান্তু সময়ের ভারসাম্য। যে যত ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পারবেন, তার দাম্পত্য জীবন তত সুখী হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, দাম্পত্য স্থায়ী করতে প্রয়োজন ভারসাম্য রক্ষা করে চলা। কারণ দাম্পত্য সম্পর্ক খুবই স্পর্শকাতর। এই সম্পর্ক ভালো হলে যেমন এর ভালোলাগার কোনো পরিসীমা নেই, কোনো ধরনের ব্যতয় হলেও এরচেয়ে খারাপ কিছু আর হয় না।
ব্যস্ততায় বাড়তি সময় পাচ্ছেন না, ঘর থেকে বের হওয়ার সময় প্রিয় মানুষটিকে একটু কাছে নিয়ে বিদায় বলুন, সারাদিন এই ভালোলাগা ঘিরে রাখবে দু’জনকেই। এবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে একটু ভালোবাসার ছোঁয়ায়ই তাকে ওয়েলকাম করুন। সারাদিনের কাজ শেষে মুভি দেখতে বসেছেন, মাথাটা তার কাঁধে রাখতেই পারেন।
একসঙ্গে চলতে গেলে মত-পার্থক্য, অনেক কিছু না পাওয়ার হতাশা থাকবেই তারপরও দুই পক্ষকেই বিষয়গুলো মেনে নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
গুড মর্নিং আর গুড নাইট বলার অভ্যাস না থাকলে আজ থেকেই শুরু করুন, প্রিয়জন দূরে থাক বা কাছে, ভালোবাসার একটু ছোঁয়া যেন সে অনুভব করে ২৪ ঘণ্টা, সপ্তাহে সাত দিন...পুরো বছর, সারা জীবন।
প্রেমিক-প্রেমিকা কিংবা স্বামী-স্ত্রী হয়ে ওঠার আগে একে অপরের প্রিয় বন্ধু হয়ে উঠুন। মোট কথা আমি-আমার ভুলে গিয়ে সব বিষয়ে আমরা আর আমাদের ভেবে আপন করে নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২১
এসআইএস