এই গরমে, গরম থেকে বাঁচতে ঠাণ্ডা পানি পান করে বা রাতে দীর্ঘক্ষণ ফ্যান বা এসি চালিয়ে রেখে অনেকেরই ঠাণ্ডা লেগে যাচ্ছে। হচ্ছে সর্দি-জ্বর-গলাব্যথা কাশির সমস্যা।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এগুলো মূলত ভাইরাসজনিত রোগ। একে তো মহামারি করোনার সময় পার করছি আমরা। আর করোনার উপসর্গও জ্বর- কাশি-গলা-শরীর ব্যথা। এজন্য আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় এ ধরনের রোগ থেকে নিরাপদে থাকতে প্রয়োজন বিশেষ সতর্কতা:
যা করতে হবে
- শিশুসহ বাসার সবাইকে অবশ্যই বারবার হাত ধুতে হবে
- বাইরে গেলে মাস্ক পরতে হবে
- হাঁচি কাশির সময় টিস্যু ব্যবহার করা ও অন্যের থেকে দূরে যেতে হবে
- ঠাণ্ডা পানি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিয়ে ইনফেকশন সৃষ্টিতে সাহায্য করে
- বেশি ঠাণ্ডা পানি পান করা যাবে না, ফ্যা বা এসি-তে বেশি ঠাণ্ডায় থাকা যাবে না
- শিশুদের ঘাম যেন শরীরে না শুকায় সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। বার বার শরীর মুছে দিতে হবে
- ধুলা-ধোঁয়া, বেশি গরম বা বেশি ঠাণ্ডা এবং ঘরে কার্পেট, তোষক, পর্দা ইত্যাদিতে জমে থাকা ধুলা থেকে সাবধান থাকতে হবে
- গলাব্যথার সঙ্গে জ্বর ও ঢোঁক গিলতে সমস্যা হলে হালকা গরম পানিতে অ্যান্টিসেপটিক মাউথ ওয়াশ এর সঙ্গে এক চিমটি লবণ দিয়ে দিনে দুই-তিনবার গড়গড়া করতে হবে
এসবের সঙ্গে আদা-চা, লেবু-চা খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে মধু খাওয়া যায় এবং সেই সঙ্গে চিকেন স্যুপ খেলে ভালো। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল লেবু, কমলা, আমলকি, আমড়া প্রভৃতি খেতে পারেন। এ সমস্যা প্রতিরোধে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল সাহায্য করে।
করোনাকালে মামুলি উপসর্গকেও উপেক্ষা নয়, আর অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ গ্রহণ করবেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০২১
এসআইএস