হাসতে কে না ভালোবাসে! হাসি কিন্তু অত্যন্ত ছোঁয়াচে একটি জিনিস। একবার শুরু হলে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা রাখে এ হাসি।
অক্টোবরের প্রথম শুক্রবার বিশ্ব হাসি দিবস হিসেবে পালিত হয়। দিনটির মূল লক্ষ্য হলো- হাসির সুবিধা ও গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া।
বর্তমানে নানা ধরনের সমস্যায় জর্জরিত বিশ্ব। অতিমারি, যুদ্ধ, দুষ্কৃতি দমন, নাশকতা, দুশ্চিন্তা সবকিছু নিয়ে বেশ বিধ্বস্ত এ পৃথিবী। তবে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা। আতঙ্ক আর মৃত্যুর খবরে মানুষ এখন অসহায়। সে অসহায়ত্ব কাটাতে মানুষের এখন দরকার হাসি। এছাড়া হাসি স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।
আসুন কারণগুলো জেনে নেই-
গবেষণায় দেখা গেছে, আপনি যত জোরে হাসবেন, ততক্ষণ আপনার দীর্ঘজীবনের সম্বাবনা তত ভাল হবে।
মানসিক চাপ দূরে রাখতে ও মেজাজ ঠিক করতে হাসির কোনও বিকল্প নেই। হাসির মাধ্যমে হৃদয়ে আনুন খুশির জোয়ার। আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে একইভাবে স্ট্রেস নিয়ে কাজ করেন, তারমধ্যে কিছুক্ষণ হেসে নিন। হাসি কেবল হতাশা কাটাতেই সাহায্য করে না বরং আপনার মুখ থেকে ক্লান্তির চিহ্নও মুছে ফেলতে পারে।
একজন সুখী ব্যক্তিকে কে না পছন্দ করে? জানেন কি, হাসির মাধ্যমে ইতিবাচক মনোভাব শরীরের মধ্যে উজ্জ্বলতা বহন করে, যা আপনার আশেপাশের ব্যক্তিদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক দক্ষতা বাড়াতে ও মানুষের আরও কাছাকাছি আসতে একটি জনসংযোগের কাজ করে হাসি।
সুস্থ শারীরিক স্বাস্থ্যের সুবিধার্থে স্থিতিশীল মানসিক স্বাস্থ্যের ভূমিকা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। এতে ইমিউন সিস্টেম ও মজবুত শরীর গড়তে সাহায্য করে।
হাসি রক্তচাপের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২১
জেডএ