ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

দেয়ালের রঙের দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষায় আপনার করণীয়

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২২
দেয়ালের রঙের দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষায় আপনার করণীয়

ঢাকা: সাধ্যের মধ্যেই আকর্ষণীয় সাজসজ্জার মাধ্যমে নিজের বাসাকে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে কে না চান?
তবে দেয়ালের রঙের ক্ষেত্রে সস্তা ব্র্যান্ড বা পণ্য বাছাই করা সবসময় সিদ্ধান্ত হিসেবে সঠিক হয় না। এতে আপাতদৃষ্টিতে কিছু টাকা সাশ্রয় হলেও এমন সিদ্ধান্ত বরং পরবর্তীর জন্য আরও বেশি খরচের পথ তৈরি করে, যা মোটেই কাম্য নয়।

সস্তা ও মানহীন রঙ ব্যবহারের ফলে দীর্ঘমেয়াদে কীভাবে আপনার খরচ বেড়ে যেতে পারে, চলুন তা জেনে নেওয়া যাক।

প্রথমেই জেনে রাখি, সাধারণত তিনটি উপাদানের সমন্বয়ে রঙ তৈরি করা হয় – সলভেন্ট, পিগমেন্ট এবং বাইন্ডার। আমরা যখন দেয়ালে রঙ করি, সলভেন্ট বাতাসের সঙ্গে মিলিয়ে যায়; রয়ে যায় রঙের কঠিন উপাদান হিসেবে পরিচিত পিগমেন্ট ও বাইন্ডার। বাইন্ডারের কাজ হচ্ছে পিগমেন্টের সঙ্গে জুড়ে থেকে দেয়ালে রঙের স্তর তৈরিতে ভূমিকা রাখা। ভালো মানের রঙে পিগমেন্টের পরিমাণ বেশি থাকার পাশাপাশি তা নিম্নমানের রঙের তুলনায় সূক্ষ্ম হয়। এছাড়া এটি দীর্ঘদিন টিকে থাকে এবং দেয়ালের উপরিভাগে প্রলেপ দিতে পরিমাণে কম লাগে।
রঙের দোকানগুলোতে ব্র্যান্ড এবং মান অনুযায়ী বিভিন্ন ধরণের রঙের মধ্যে দামের তারতম্য দেখা যায়। তবে রঙ কেনার সময় দামের চাইতেও খেয়াল করার মতো গুরুত্বপূর্ণ অন্য একটি বিষয় রয়ে যায়, আর তা হলো ব্যবহার্য পরিমাণ। নিম্নমানের রঙ ব্যবহার করলে দেয়ালের ওপর সঠিকভাবে রঙ ফুটিয়ে তুলতে অন্তত ২-৩টি প্রলেপ দেওয়া লাগতে পারে। কখনো কখনো ৪টি প্রলেপও প্রয়োজন হয়। অন্যদিকে, ভাল মানের রঙের সুবিধাই হল এতে পিগমেন্টের মান ও পরিমাণ বেশি থাকে, ফলে দেয়ালে রঙের কম প্রলেপ দেওয়ার প্রয়োজন হয়। বারবার প্রলেপ দেওয়ার পরিবর্তে আপনার প্রয়োজন হবে ১টি বা সর্বোচ্চ ২টি প্রলেপ, সুতরাং খরচও তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কমে আসবে। সুতরাং বেশি দাম দিয়ে ভালো ব্র্যান্ডের রঙ কিনে আসলে আপনি অর্থ অপব্যয় করছেন না, বরং দীর্ঘমেয়াদে আপনি অর্থ সাশ্রয়ই করছেন।

সাধারণ মানের রঙের পরিবর্তে উচ্চমানের রঙ বেছে নেওয়ার পেছনে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল রঙের দীর্ঘস্থায়িত্ব। বড় অণুর সস্তা বাইন্ডারের কারণে মানহীন রঙ দেয়ালে সঠিকভাবে বসে না। রঙের আস্তরণ উঠে আসা বা খসে পড়া, স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে যাওয়া, বিবর্ণ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি থেকে নিশ্চিন্ত থাকতে সচেতন ব্যবহারকারী মাত্রই উচ্চমানের রঙ বেছে নেন।

যেকোনো রঙ ব্যবহার করার আগে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখুন, যেটি হচ্ছে এতে আপনার ও আপনার পরিবার কোনোরকম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে, কি না। স্বাস্থ্য এবং পরিবেশগত সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি থেকে ভালো মানের রঙ প্রস্তুতকারী ব্র্যান্ডগুলো ক্ষতিকর ভোলাটাইল অরগানিক কমপাউন্ডস (ভিওসি) কম রেখে সীসামুক্ত রঙ উৎপাদন করার চেষ্টা করে থাকে। তাছাড়া আজকাল বাজারে অ্যান্টি-ফাঙ্গালসহ নানা অত্যাধুনিক রঙ পাওয়া যায়, যা আপনার ঘরের দেয়ালকে ক্ষতিকর ছত্রাক ও অন্যান্য জীবাণু থেকে নিরাপদ রাখে।

অর্থাৎ, দীর্ঘমেয়াদে আপনার দেয়ালকে সুরক্ষিত রাখতে চাইলে একটু বেশি দামে ভালো মানের রঙ কেনাই হবে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশে রঙের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও দীর্ঘস্থায়ী সমাধান দেয় এমন ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে বার্জার অন্যতম। আর এখন বার্জার থেকে রঙ কিনে ক্রেতারা জিতে নিতে পারেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও জমজমাট আসর ফুটবল বিশ্বকাপের টিকেট! ‘উৎসবের রঙ বিশ্বকাপে’ নামে এক বিশেষ ক্যাম্পেইনের আওতায় রীতিমতো কাতারে বসেই আসন্ন ফিফা বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখার এই সুবর্ণ সুযোগ পাচ্ছেন বার্জারের ক্রেতারা। ভালো মানের রঙ দিয়ে নিজের ঘর সাজানোর সঙ্গে সঙ্গে স্টেডিয়ামে বসে সরাসরি ম্যাচ উপভোগ করার এটাই সুবর্ণ সুযোগ। ‘উৎসবের রঙ বিশ্বকাপে’ ক্যাম্পেইনের বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের ফেসবুক পেজ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২২
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।