বাংলাদেশ হাইকমিশন এই ভবনের দ্বিতীয় তলায়, নিচতলায় মালিকের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে। হাইকমিশনের লোকজনের প্রবেশের জন্য ভবনে একটি লিফট রয়েছে।
জানা গেছে, সিঁড়ির গোড়ার গেট বন্ধ করে দিয়েছেন ভবন মালিক। বাইরে অপেক্ষায় রয়েছেন কয়েক হাজার প্রবাসী। তাদের জট গলির রাস্তা পেরিয়ে জালান পাহাংরের প্রধান সড়কে গিয়ে ঠেকেছে। বেলা ১২টা পর্যন্ত সমঝোতার চেষ্টা চলছিল।
এ বিষয়ে জানতে হাইকমিশনের একাধিক কর্মকর্তাকে ফোন করা হলেও তারা ব্যস্ততার কথা বলে লাইন কেটে দিয়েছেন।
জালান পাহাংয়ের উইসমা লোটাস-এ গত জানুয়ারি মাসে স্থানান্তরিত হয়েছে বাংলাদেশ হাই কমিশন। স্থানীয়দের কাছে এটি হানতু কমপ্লেক্স নামে পরিচিত। মালয় ভাষা হানতু’র অর্থ হচ্ছে, ভূত কমপ্লেক্স।
ভবনটি নিয়ে রয়েছে নানারকম কল্পকাহিনী। জায়গাটি আগে শ্মশান ঘাট হিসেবে ব্যবহৃত হতো। একজন চীনা ব্যবসায়ী কিনে নিয়ে ভবন নির্মাণ করেন। উইসমা লোটাসের দ্বিতীয় তলার উনিশ হাজার বর্গফুটজুড়ে বাংলাদেশ হাই কমিশন অবস্থিত। একই তলার দক্ষিণ অংশের তের হাজার বর্গফুটে রয়েছে মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগ নেতা মকবুল হোসেন মুকুলের অফিস ও রেস্টুরেন্ট।
মকবুল হোসেন মুকুলের অংশে সিঁড়ির গোড়া থেকে মাঝ বরাবর করিডোর। আর করিডোরের দুই পাশে করপোরেট অফিসের মতো গ্লাসে মোড়ানো। পশ্চিমের পুরো অংশ জুড়ে রেস্টুরেন্ট। আর পুর্বের অংশে তার ব্যক্তিগত অফিস ও একটি হল রূম রয়েছে। এদিক দিয়ে প্রবেশ করতে হয় সেবা প্রত্যাশীদের।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৯ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৭
এসআই/এসএনএস