ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মালয়েশিয়া

বাংলাদেশিদের ওপর নির্ভর করছে মালয়েশিয়ার আসবাব শিল্প

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৫৬ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৭
বাংলাদেশিদের ওপর নির্ভর করছে মালয়েশিয়ার আসবাব শিল্প

ঢাকা: বাংলাদেশি শ্রমিকদের দিয়েই আসবাবপত্র শিল্প আবারো শক্তিশালী হয়ে উঠবে বলে আশা করছে মালয়েশিয়া সরকার। 

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দফতর বিষয়ক মন্ত্রী দাতুক সেরি ড. উই কা সিয়ং সেখানকার আসবাবপত্র ব্যবসায়ীদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, বিশ্বাস করি খুব দ্রুতই স্থিতিশীল একটি সমাধানে পৌঁছাবো আমরা।  উপ-প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি ড. আহমেদ জাহিদ হামিদির সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে তিনি আলাপ করবেন বলে জানান।

 

মালয়েশিয়ায় শ্রমিক সংকট নিয়ে আসবাবপত্র শিল্প ব্যবসায়ীদের সংগঠন মুয়ার ফার্নিচার অ্যাসোসিয়েশনসহ ৮টি সংগঠন ড. সিয়ংয়ের সঙ্গে দেখা করলে তিনি এসব কথা বলেন।  

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, শীঘ্রই ভালো সংবাদ আসবে। আশা করা যায় খুব শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হবে এবং আমাদের আসবাবপত্র শিল্পের রফতানিতে কোনো প্রভাব পড়বে না।  

গত বুধবার (১৪ জুন) নিজ কার্যালয়ে ড. উইং এ বৈঠকে বলেন, উপ-প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই বিষয়টি যাচাই-বাছাই করবেন এবং দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যা সমাধানের জন্যে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করবেন।  

তিনি বলেন, উপযুক্ততা এবং প্রাপ্যতার বিচারে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়াই সঠিক। নেপালের শ্রমিকরা এই শিল্প খাতের চাহিদা মেটাতে পারবে না।  

তিনি আরও বলেন, আসবাবপত্র তৈরি শিল্পে ১শ’ জনের কাজ কখনই ৩০ জন শ্রমিক দিয়ে সম্ভব নয়। শিল্প মালিকদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশি শ্রমিকরা এই খাতে বেশ দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন।  

শ্রমিক সংকটের সঙ্গে রাবার কাঠের সংকটের কথাও জানিয়েছেন শিল্প মালিকরা, বলেন তিনি।  

মন্ত্রী বলেন, শিল্প সংগঠকরা তাদের এই সংকটগুলো দূর করার আবেদন জানিয়েছেন। আসবাবপত্র রফতানিতে পৃথিবীর প্রথম ১০টি দেশের মধ্যে একটি মালয়েশিয়া। কিন্তু এসব সংকট চলতে থাকলে ভিয়েতনামের মতো প্রতিযোগী দেশগুলো এগিয়ে যাবে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন তারা।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৭
এমএন/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মালয়েশিয়া এর সর্বশেষ