নগরের অন্যসব এলাকা যখন ঘুমিয়ে পড়ে, তখন সরগরম হয়ে ওঠে এই এলাকাটি। হবেই না কেনো! নিশাচরদের জন্য কী নেই এখানে! একদিকে সারি সারি ডিসকো, বার, অন্যদিকে ম্যাসেজ পার্লারে ঠাসা।
রাস্তাটির আরেক প্রান্তে কয়েক'শ স্ট্রিট ফুডের দোকান। সেখানে কি কি পাওয়া যায়, না বলে কি পাওয়া যায় না বলাই শ্রেয়।
সড়কটির (দক্ষিণ-পশ্চিম) ধরে পাঁচ মিনিট হাঁটলেই বুকিত বিনতান। যার প্রান্তে অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম কম্পিউটার ও মোবাইল মার্কেট ল ইয়েট প্লাজা। সঙ্গে বাহারি শপিংয়ের জন্য বিখ্যাত টাইম স্কয়ার।
সহজেই অনুমেয় রাস্তাটির গুরুত্ব। সেই রাস্তার সংস্কারকাজ চলছে। কেউ যদি ঢাকার সঙ্গে মেলাতে চান তবে ভুল করবেন। ঢাকায় রাস্তার কাজ চলমান থাকলে সেদিক দিয়ে যাওয়ার কোনো জো থাকে না। রাস্তার পাশে মানুষ তো দূরের কথা, গাছগাছালিও টিকতে পারে না ধুলার চোটে। ধুলার অত্যাচারে সবুজ গাছপালা ধূসর-বাদামি হয়ে যায়।
এখানে কিন্তু কোনো ধূলিকণা নেই। পথের পাশের কোনো দোকানিকে মাস্ক পরতেও দেখা গেল না। এখানেও রাস্তা কাটার পর মাটি স্তুপ করে রাখা হয়েছে রাস্তার ওপরেই। দিব্যি চলছে ডিসকো ও ম্যাসাজ পার্লারগুলো। ধূলিকণা তাদের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে না। মনে হচ্ছে, ধূলিকণাও কঠোর অনুশাসন মেনে চলছে। কারণও আছে।
লক্ষ্য করার বিষয় হচ্ছে, রাস্তার ওপর জমানো মাটির স্তুপ পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। যাতে ধূলিকণা বাতাসে ভেসে বা গাড়ির চাকায় ছড়িয়ে পড়তে না পারে। পরিচ্ছন্ন শহর কুয়ালালামপুরে রয়েছে কঠোর মনিটরিং। এজন্য বিশেষ টহল টিম রয়েছে, যারা মনিটরিং করছে কেউ যত্রতত্র ময়লা ফেলছে কিনা। কেউ ডাস্টবিন ছাড়া ময়লা ফেললে আর রক্ষে নেই। টেনে হিঁচড়ে তুলে নিয়ে যাবে নিরাপত্তাকর্মীরা। অনেক সময় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেও শাস্তি দেওয়া হয়।
অফিস আওয়ারে যানজট আছে। কিন্তু যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং বা যাত্রী ওঠানো-নামানো নেই। সারাদিন ভোঁ-ভোঁ করে ঘুরছে ফ্রি লাক্সারি বাস। সেসবে চড়ে নিখরচায় পৌঁছে যাওয়া যায় নির্দিষ্ট গন্তব্যে। যানজট এড়তে ব্যবহার করতে পারেন এলআরটি, এমআরটি।
সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
বাংলাদেশ সময়: ১১২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৭
এসআই/জেএম